চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার’
শান্তা মারিয়া, ঢাকা: অর্থনৈতিক যোগাযোগের প্রাচীন সিল্ক রুটকে চাঙ্গা করার চীনা উদ্যোগ ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ -বিআরআই’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেশ, সর্বাধিক জনসংখ্যাকে জড়িত করা ও বিপুল বিনিয়োগের এক মহাপরিকল্পনা এই বিআরআই। বাংলাদেশও এই উদ্যোগের বাইরে নয়। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ করে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার।
একুশ শতকের বিশ্বকে যোগাযোগের এক সুতোয় গাঁথতে ২০১৩ সালে এক বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন। প্রাচীন সিল্ক রোডের আদলে যোগাযোগের নতুন এই বিন্যাসের নাম দেওয়া হয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার
একদিকে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে এই উদ্যোগ যুক্ত করেছে ইউরোপকে। অন্যদিকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে চীনের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে বিআরআই। এর মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক-অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে। তখন থেকে বাংলাদেশও আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের অংশ। তবে এ উদ্যোগ থেকে সর্বাধিক লাভবান হতে যে গবেষণা প্রয়োজন, তার ঘাটতি ছিলো। এবার এ প্রয়োজনকে সামনে রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চায়নিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেইন কান্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করলো ‘বেল্ট এন্ড রোড রিসার্চ সেন্টার’।