বাংলা

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার’

CMGPublished: 2022-06-02 19:35:25
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

শান্তা মারিয়া, ঢাকা: অর্থনৈতিক যোগাযোগের প্রাচীন সিল্ক রুটকে চাঙ্গা করার চীনা উদ্যোগ ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ -বিআরআই’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেশ, সর্বাধিক জনসংখ্যাকে জড়িত করা ও বিপুল বিনিয়োগের এক মহাপরিকল্পনা এই বিআরআই। বাংলাদেশও এই উদ্যোগের বাইরে নয়। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ করে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার।

একুশ শতকের বিশ্বকে যোগাযোগের এক সুতোয় গাঁথতে ২০১৩ সালে এক বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন। প্রাচীন সিল্ক রোডের আদলে যোগাযোগের নতুন এই বিন্যাসের নাম দেওয়া হয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার

একদিকে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে এই উদ্যোগ যুক্ত করেছে ইউরোপকে। অন্যদিকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে চীনের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে বিআরআই। এর মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক-অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন।

২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে। তখন থেকে বাংলাদেশও আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের অংশ। তবে এ উদ্যোগ থেকে সর্বাধিক লাভবান হতে যে গবেষণা প্রয়োজন, তার ঘাটতি ছিলো। এবার এ প্রয়োজনকে সামনে রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চায়নিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেইন কান্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করলো ‘বেল্ট এন্ড রোড রিসার্চ সেন্টার’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীন থেকে অনলাইনে যোগ দেন অনেক অতিথি

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল অ্যাফেয়ারসের কাউন্সিলর লিওয়েন ইউয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চীন-বাংলাদেশ যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে চীন-বিষয়ক এই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। চীন বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এই রিসার্চ সেন্টার নতুন মাত্রা যোগ করবে। বেল্ট অ্যান্ড রোড বিষয়ক গবেষণা এই সংশিল্ষ্ট দেশগুলোর জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। ’

চীনা দূতাবাসের কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল অ্যাফেয়ারসের কাউন্সিলর লিওয়েন ইউয়ে

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী। এসময় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিয়াংসি পিপলস অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেইন কান্ট্রিসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোডের সুফল পেতে এ ধরনের গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যত সফলতা নিয়ে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্পাদনা: সাজিদ রাজু

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn