শতভাগ বিদ্যুতায়নের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ
তানজিদ বসুনিয়া, মার্চ ২৪: পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়নের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। পরিবেশের উপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি কমিয়ে আনতে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে বিশ্বের ১৩তম দেশ হিসেবে বিশেষ এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর তালিকায়ও নাম লেখায় বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হল নতুন মাইলফলক। উদ্বোধন করা হলো দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এর মধ্য দিয়েই শতভাগ বিদ্যুতায়নের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যৌথ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ ও চীন। এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দেখভালের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড বা বিসিপিসিএল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি এবং চীনের ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)’ সমান অংশীদারিত্বে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
নতুন এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কেবল জ্বালানিখাতে স্বয়ংসম্পূর্ণই করবে না বরং সবুজায়ন ও টেকসই উন্নয়নের যাত্রাকেও আরো গতিশীল করবে।
লি জিমিং, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
“এই সকালে আমি এখানে এলাম, দেখলাম এবং অনুপ্রাণিত হলাম। বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের নতুন নিদর্শন দেখে আমার মতো যে কেউ ই অনুপ্রাণিত হবেন। পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সফল নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিডিটেডকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
সম্প্রতি এক হাজার একর জমির ওপর গড়ে তোলা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করা হয়েছে।