শতভাগ বিদ্যুতায়নের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, 'দেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালতে পেরেছি, এটিই সবচেয়ে বড় কথা। কোন ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য।'
মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উপহার হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আলোর পথে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে আমাদের এই যাত্রা কেউ দমাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের অনেক পূর্বেই এ অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্ধ শিল্প কারখানাগুলো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।'
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এর ৮০ শতাংশ অর্থ এসেছে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণসহায়তা থেকে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের জন্য দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে বিসিপিসিএল। প্রতিটি কেন্দ্রে আছে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি করে ইউনিট। প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের জুনে। একই বছরের আগস্টে উৎপাদনে আসে দ্বিতীয় ইউনিট। আগামী ডিসেম্বর মাসে সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ শেষ হলে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় প্রতিদিন দরকার হবে ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। ১০ বছরের চুক্তির আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হবে কয়লা। কয়লা আনা-নেওয়া করতে পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা নৌ-বন্দর। সংশ্লিষ্টা বলছেন, পরিবেশের উপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতি কমিয়ে আনতে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি।
বাংলাদেশ ছাড়া বর্তমানে এশিয়ার দেশ চীন, ভারত, জাপান ও মালয়েশিয়া ব্যবহার করে এ প্রযুক্তি। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০১৪ সালে চীন সফরের সময় চীনের সঙ্গে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু