বাংলা

মেড ইন চায়না : পর্ব-২০: স্টার ফ্রাই

CMGPublished: 2024-10-12 19:33:47
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সপ্তদশ শতকের দিকে চীনের দেখাদেখি ছাও বা নেড়েচেড়ে ভাজার পদ্ধতির কথা জানতে পারে পূর্ব এশিয়ার লোকজন। এর আরও অনেক পরে যথারীতি এর সন্ধান পায় ইউরোপ ও আমেরিকা। আর এখন তো স্টার ফ্রাই করা সবজি পেলে বর্তে যায় শিশুরাও।

এবার আমরা শান্তা মারিয়ার কাছ থেকে শুনবো কেন হাজার বছর আগের চীনের এ রন্ধনপ্রণালী এখনও সারা বিশ্বে এত জনপ্রিয়

· এ প্রক্রিয়ায় কম তেলে মুচমুচে করে ভাজা যায়। এটি একদিকে যেমন শরীরের জন্য ভালো, তেমনি খাবারটিও হয় সুস্বাদু।

· সবজি থেকে শুরু করে তোফু, মাছ ও মাংসসহ প্রায় সব ধরনের খাবারই স্টার ফ্রাই করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় রান্না করতে বেশি সময়েরও প্রয়োজন হয় না।

· ছাও বা স্টার ফ্রাই প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরি করলে তাতে খাবারের পুষ্টিগুণ ও নিজস্ব স্বাদ টিকে থাকে।

· রান্না শেখার হাতেখড়ি করা যায় স্টার ফ্রাইং দিয়ে। কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি বাদ দিলে স্টার ফ্রাইংই রান্নার সবচেয়ে সহজ কৌশল।

স্টার ফ্রাই করার কিছু শ্রেণিবিন্যাস আছে। এর মধ্যে বেশি প্রচলিত বাও টেকনিক। আঠারো শতকের শেষের দিকে চীনের শানতোংয়ে এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়।

এতে কড়াইটাকে উত্তপ্ত করে একেবারে গণগণে লাল করে ফেলা হয়। এরপর তাতে খাবার ও অন্যান্য উপকরণ দ্রুত মিশিয়ে ক্রমাগত টস করে যেতে হয়। এ কাজে থাকা চাই বিশেষ দক্ষতা। বাও টেকনিকে রান্না করার সময় কড়াইতে তৈরি হয় আগুনের হলকা। এতে সবজি ও মাংসে পাওয়া যায় বারবিকিউর স্বাদ।

চীনের আবিষ্কার স্টার ফ্রাইংয়ের কিছু উপকারের কথা শোনা যাক এবার

· খাবার সেদ্ধ করে রান্না করা হলে তাতে উপকারী আমিষ, দ্রবণীয় শর্করা, ভিটামিন ও অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়। স্টার ফ্রাই করলে এ উপাদানগুলো কমে না। বিশেষ করে সবজিতে ভিটামিন সি অক্ষুণ্ন রাখতে চাইলে সেটাকে ছাও বা স্টার ফ্রাই করেই খাওয়া উচিত।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn