মেড ইন চায়না : পর্ব-১৯ : ফাস্ট টেলিস্কোপ
ফাস্ট নিয়ে এবার জেনে নিই আরও কিছু তথ্য
• ফাস্ট-এর রেডিও সংকেত রিসিভিং এরিয়া প্রায় আড়াই লাখ বর্গমিটার। যা কিনা ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান। এর আগেকার শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপটির চেয়ে ফাস্টের সংকেত গ্রহণের ক্ষমতা আড়াই গুণ বেশি।
• ফাস্ট-এর আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা হলো রেডিও-সাইলেন্ট এলাকা। অর্থাৎ এই সীমারেখার মধ্যে মোবাইল ফোন, ওয়াই ফাই সহ রেডিও তরঙ্গ ছড়ায় এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ।
• আমাদের গ্যালাক্সিতে হাইড্রোজেন কোথায় কিভাবে ছড়িয়ে আছে সেটার মানচিত্র তৈরি করে ফাস্ট।
• টেলিস্কোপের প্যানেলগুলো ঘোরানোর জন্য এর ঠিক নিচেই আছে ২২২৫টি কপিকল।
• পালসার নক্ষত্র বা হাইড্রোজেনের মানচিত্র তৈরি ছাড়াও বিশেষ রেডিও সংকেত খুঁজে বেড়ায় ফাস্ট। বিশেষ করে ভিনগ্রহের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী যদি রেডিও সংকেত পাঠায়, তবে সেটা সহজে এড়িয়ে যাবে না ফাস্টের কান।
• এটি মিল্কিওয়ে এবং অন্যান্য ছায়াপথের মানচিত্র তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে নক্ষত্রের গঠন এবং গ্যালাক্সি ঘূর্ণন এবং সেগুলোর গঠন ও গতিবিদ্যা সম্পর্কেও বিজ্ঞানীদের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে চলেছে টেলিস্কোপটি।
চীনের এ অভাবনীয় আবিষ্কারটি শুধু চীনের জন্যই সীমাবদ্ধ নেই। ফাস্ট-এ যে চীনা গবেষকরা কাজ করছেন তারা প্রায়ই বলে থাকেন, মহাকাশ গবেষণার কোনো দেশের সীমারেখায় আটকে থাকতে পারে না। তাই চীনের তৈরি এ সুবিশাল টেলিস্কোপে পাওয়া তথ্য নিয়ে গবেষণা করছেন আন্তর্জাতিক গবেষকরাও।
চীনের ফাস্ট-এর সঙ্গে এখন যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনস্টিটিউট বা এসইটিআই, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সস্টিটিউট ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি, অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এবং রাশিয়ার একাডেমি অব সায়েন্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।