মেড ইন চায়না: টুথব্রাশ ও টয়লেট পেপার
এবার জেনে নেওয়া যাক টুথব্রাশের আরও কিছু তথ্য।
· প্রতিদিন দুইবেলা দুই মিনিট করে ব্রাশ করলে সাড়ে তিন হাজার ক্যালরি খরচ হয়। অর্থাৎ শুধু টুথব্রাশ ব্যবহার করেও বছরে এক কেজি ওজন কমানো সম্ভব।
· অনেকেই টুথব্রাশ ব্যবহারের পর ঢাকনা লাগিয়ে রাখেন। এতে ব্রিসল আর্দ্র থেকে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করতে পারে। ব্রাশ এমনভাবে রাখা উচিত যাতে তা প্রাকৃতিক বাতাসে শুকিয়ে যায়। এতে করে ব্রাশে ব্যাকটেরিয়া টিকে থাকতে পারে না।
· যুক্তরাষ্ট্রে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই দাঁত ব্রাশ করাটা দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ যুদ্ধের সময়ই মার্কিন সেনারা নিয়মিত দাঁত ব্রাশের অভ্যাস করে ও তা অন্যদের জানায়।
· জ্বর, ঠাণ্ডার মতো ভাইরাল কোনো সংক্রমণের পর সুস্থ হলে ব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ ব্রাশে ভাইরাসটি সহজেই থেকে যেতে পারে।
·
এবার আসা যাক চীনের আবিষ্কার টয়লেট পেপারে প্রসঙ্গে। কাগজ যারা আবিষ্কার করেছিল, তারা যে টয়লেট পেপারও প্রথম ব্যবহার করবে সেটা তো জানা কথাই। তবে টয়লেট পেপারকে আধুনিক সভ্যতার উপকরণ বলে মনে হলেও আদতে এর বয়স কিন্তু প্রায় দেড় হাজার বছর। ৫৩১ থেকে ৫৯১ সালের দিকে চীনের প্রতিভাবান ব্যক্তি ইয়ান চিথুইয়ের একটি লেখায় কাগজকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
আবার ৮৫১ সালে থাং রাজবংশের শাসনামলে চীনে এসেছিলেন এক আরব ব্যবসায়ী। তিনিও ফিরে গিয়ে লিখেছিলেন চীনাদের টয়লেট পেপার ব্যবহারের কথা। ওই সময় কিন্তু ইউরোপে সাধারণ লেখার কাগজই ছিল না।
চীনে কিন্তু টয়লেট পেপারের ব্যবহারটা বিচ্ছিন্নভাবে থাকেনি। ১৪ শতকেই চীনে ব্যাপকহারে বাণিজ্যিক উৎপাদন হতে থাকে টয়লেট পেপারের। ওই সময় চেচিয়াং প্রদেশে বছরে তৈরি হতো প্রায় এক কোটি বাক্স টয়লেট পেপার। প্রতিটি বাক্সে থাকতো এক হাজার থেকে ১০ হাজার কাগজের টুকরো।
১৪শ সালের দিকে মিং রাজবংশের সময় শুধু রাজ দরবারের ব্যক্তিদের জন্যই বছরে উৎপাদিত হতো ২ বাই ৩ ফুট আকারের সাড়ে সাত লাখ শিট টয়লেট পেপার। এর প্রায় ৫০০ বছর পর ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে টয়লেট পেপার তৈরি শুরু হয়।