মেড ইন চায়না: পর্ব-১১: উডব্লক প্রিন্টিং
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা আবার শান্তা মারিয়ার কাছ থেকে শুনবো, মুদ্রণের জগতে কী কী পরিবর্তন এলো চীনের আবিষ্কার উডব্লক প্রিন্টিং
আগে গুরুত্বপূর্ণ লেখা-আঁকা ছাপা হতো স্ক্রল বা গোল করে পাকানো কাগজে। সেটা চওড়ায় ছোট হলেও দৈর্ঘ্য হতো বেশ লম্বা। উডব্লক প্রিন্টিং আসার পর থেকে চারকোণা কাগজে ছাপানো শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে যা আজকের বইয়ের রূপ ধারণ করে।
এক হাজার সালের দিকে একই কাগজের এপিঠ-ওপিঠে ছাপানো হয় লেখা। উডব্লকের কারণেই যা সম্ভব হয়েছে। এতে করে সাশ্রয় হলো অনেক কাগজ।
কাঠের ব্লকের প্রিন্টিংয়ের কারণে প্রাচীন চীনে পাণ্ডুলিপি তৈরির খরচ প্রায় দশ ভাগের এক ভাগে নেমে আসে।
চীনের উত্তরাঞ্চলে কাঠের তৈরি প্রতিস্থাপনযোগ্য টাইপ আবিষ্কার হয় ১০৪১ সালে সোং রাজবংশের আমলে। আর ধাতব টাইপ আবিষ্কার হয় দক্ষিণাঞ্চলে।
হান রাজবংশের আমলে সিল্কের ওপর উডব্লক প্রিন্টিং পদ্ধতিতে প্রথম রঙিন নকশা প্রিন্ট করা হলেও মুভেবল টাইপ পদ্ধতিতে প্রথম রঙিন বইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১৬০৬ সাল পর্যন্ত। চীনে তৈরি ওই বইটির নাম ছেংশি মোইয়ুয়ান। এরপরই রং-বেরঙের ছাপচিত্র তৈরির পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। এমনকি তিন-চারশ বছরের পুরনো সেই সব প্রাণবন্ত রঙিন ছাপচিত্র এখনও বিক্রি হতে দেখা যায় অনলাইনে।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের মেড ইন চায়না ছিল এ পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আবার ফিরবো চীনের সাড়া জাগানো আরেকটি আবিষ্কারের গল্প নিয়ে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী