মেড ইন চায়না: পর্ব-১০: চপস্টিক
খাওয়া শেষ হলে নিয়ম হলো চপস্টিকের সূঁচাল অংশটিকে বাম দিকে রেখে কাঠিগুলো টেবিলের সঙ্গে সমান্তরাল করে রাখা।
খাওয়ার সময় খেলাচ্ছলে চপস্টিক এদিক সেদিক ঘোরানোটাও এক ধরনের অসৌজন্যতা।
চপস্টিকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে চীনে। বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি চপস্টিক তৈরি করছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে ৩ হাজার কোটি চপস্টিক রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এ বিপুল পরিমাণ চপস্টিক তৈরিতে প্রয়োজন হয় অনেক অনেক গাছের। আর তাই এ ধরনের ডিসপোজেবল চপস্টিকের ব্যবহার কমাতে ২০০৬ সাল থেকেই ওয়ানটাইম চপস্টিকের ওপর ৫ শতাংশ করারোপ করে চীন সরকার।
তবে আর যাই হোক, চপস্টিক কিন্তু এখন শুধু খাওয়ার একটি অনুষঙ্গ নয়। এটাকে স্রেফ চামচের বিকল্প ভাবলে ভুল হবে। কারণ চপস্টিকের রয়েছে হাজার বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস। এ দীর্ঘ সময়ে চপস্টিকের গঠন বদলে যায়নি একটুও। তাই চপস্টিক দিয়ে খাওয়ার মানে হলো সুপ্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজের একাত্মতা ঘোষণা করা।
আজকের মেড ইন চায়না এ পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আবার আসবো চীনের সাড়া জাগানো আরেকটি আবিষ্কার নিয়ে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী