মেড ইন চায়না: পর্ব-১০: চপস্টিক
নুডলসের মতো কিছু খাবার চপস্টিক দিয়ে খাওয়া সহজ বলে চীন থেকে এটি দ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাকি দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
চপস্টিকে খাওয়া কিন্তু সহজ কাজ নয়। এটির ব্যবহার শিখতে হয়। তাই প্রশ্ন হলো, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ প্রতিদিন চপস্টিক ব্যবহার করছে কেন? এর কিছু কারণ তো নিশ্চয়ই আছে।
চীনে চপস্টিককে বিবেচনা করা হয় খাবার পরিবেশন ও খাওয়ার গ্রহণের মধ্যে ভদ্রতা ও নম্রতার বহিঃপ্রকাশ করার প্রতীক হিসেবে। আবার কনফুসিয়াস যেহেতু এই চপস্টিকের প্রসারে বেশ নিবেদিত ছিলেন, তাই কনফুসিয়াসিজমের সঙ্গে নিজের একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমও এই চপস্টিক।
তবে কেউ কেউ আবার বলছেন ভিন্ন কিছু কারণের কথা। প্রতিবার চপস্টিক ব্যবহারে আঙ্গুল, কব্জি, বাহু এবং কাঁধসহ শরীরের প্রায় ৫০টি পেশী ও জয়েন্টকে নাড়াতে হয়। এতে করে খেতে খেতেই হয়ে যাবে ব্যায়াম। গবেষণায় এও দেখা গেছে নিয়মিত চপস্টিক ব্যবহার করলে হাতের অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
অনুষ্ঠানের এই ফাঁকে জেনে নেওয়া যেতে পারে চপস্টিক কী করে ব্যবহার করতে হয় সে তথ্য
প্রথমে একটি চপস্টিককে রাখুন বুড়ো আঙুল ও তর্জনির মাঝে। সেটাকে সাপোর্ট দিতে হবে মধ্যমা আঙুল দিয়ে।
এরপর দ্বিতীয় চপস্টিকটি ধরুন অনেকটা পেনসিল ধরার মতো করে। আর সেটাকে নাড়াতে হবে বুড়ো আঙুল ও তর্জনী দিয়ে। দুটো চপস্টিক একই লেভেল তথা একই স্তরে আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি একই স্তরে না থাকে তবে খাবারের পাত্রে বা টেবিলে চেপে ধরে কাঠি দুটোকে এক স্তরে নিয়ে আসুন।
খাবার তোলার সময় চপস্টিককে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে বা যতটা সম্ভব খাবারের প্লেটের সমান্তরালে ওঠাতে হবে। এতে করে কাঠি থেকে খাবার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে কম।
নুডলস বা মাঝারি টুকরো জাতীয় খাবার চপস্টিক দিয়ে খাওয়া সহজ হলেও ভাত বা ফ্রায়েড রাইস খাওয়াটা একটু কঠিন বটে। এসব খাবারে চপস্টিক ব্যবহার করতে গেলে খাবারের পাত্রটাকে এক হাতে খানিকটা উঁচু করে মুখের কাছে তুলে ধরতে হয়।