মেড ইন চায়না পর্ব-৫ চা
চা নিয়ে কয়েকটি তথ্য শোনা যাক এবার
· বাংলাদেশে চায়ের চল শুরু হয়েছে বেশিদিন হয়নি। কারও মতে ১৮৪৩ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার কর্নফুলি নদীর তীরে নাকি প্রথম চা পান করা হয়েছিল। সতের শতকের দিকে বিকেলের নাস্তায় চা খাওয়ার রেওয়াজ চালু হয় ব্রিটিশদের হাত ধরে। কিন্তু ইউরোপ চা পৌঁছানোর কয়েক হাজার বছর আগেই চীনে চায়ের চল ছিল দেদার।
· চীনে ১৩৬৮ সালে মিং রাজবংশের ক্ষমতায় আসার আগে, চা পাতাকে শুকিয়ে ইটের মতো আকৃতি দেওয়া হতো। সেগুলোকে ব্যবহার করা হতো মুদ্রা হিসেবে। চীনের দেখাদেখি এই চা-মুদ্রার প্রচলন রাশিয়াতেও গিয়েছিল।
· নবম শতকের দিকে জাপানিদের চায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এক সন্নাসী। চীন থেকে চা নিয়ে আসার কয়েক দশকের মধ্যেই জাপানের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে চা।
এবার শুনবো চায়ের কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা
· আড়াই বছর আগে চীনা মনীষী লাওৎসে চা–কে বলেছিলেন মহৌষধ। আধুনিক কালের অজস্র গবেষণায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভানয়েড এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা দেহে প্রবেশ করা মাত্রই বাড়ায় হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা। সুস্থ রাখে রক্তনালি। শরীরে দেয় তরতাজা ও উৎফুল্ল ভাব।
· ক্যানসার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে রক্তের কোলেস্টেরলও কমায় চা। এ ছাড়া নানা ধরনের ভেষজ চা আছে যেগুলো শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। তাই সঠিক উপায়ে সঠিক চা পানে ফিরে পাওয়া যায় হারানো সজীবতা।
· ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী চা। এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে। নিয়মিত চা পানে রক্ত চলাচল ভালো হয়, পেট পরিষ্কার করে আর মস্তিষ্ককে রাখে সচল ৷
· চায়ে আছে এপিগ্যালো ক্যাটেচিন-গ্যালেট নামের এক ধরনের রাসায়নিক, যা দুর্দান্ত একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং এটি ভিটামিন সি-এর চেয়েও ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা কোষের ডিএনএ’কে ক্যানসারের প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।