চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৫৫
উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রাচীন শহর কাশগর সেজেছে বসন্তের সাজে। চীনা নতুন বছর বা বসন্ত উৎসব উপলক্ষে গোটা শহরকে সাজানো হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি ছোট লন্ঠন দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, এই পুরানো শহরের ১২টি প্রধান সড়কে ঝুলানো মিনি লণ্ঠন শুধু শোভাই বাড়াচ্ছে না আনন্দঘন পরিবেশও তৈরি করছে। অস্থানীয় বাজারও বসেছে পথের পাশে।
এই শহরে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার দর্শক ভ্রমণ করতে আসেন। আর উৎসবে এই আনাগোনা বেড়েছে দ্বিগুন।
ড্রাগন মোটিফ এবং ড্রাগন আকৃতির পুতুলসহ লণ্ঠনের মতো জিনিসগুলো শিশুদের আনন্দের বিশেষ উপলক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
এটি দেশের ভোক্তাব্যয় এবং ব্যবসায়িক আয়ের জন্য একটি প্রধান মৌসুমের প্রতিনিধিত্ব করে।
এ উপলক্ষ্যে রাজধানী বেইজিং, শাংহাই, উত্তর-পূর্ব চীন এবং মধ্য চীনের বিভিন্ন প্রদেশসহ সারা দেশে বর্ণাঢ্য ড্রাগন ড্যান্স ও শোভাযাত্রা, লণ্ঠন উৎসব, মেলা এবং ঐতিহ্যিক চমকপ্রদ সব আয়োজন করা হয়।
বিশ্বের দেশে দেশে চীনের বসন্ত উৎসব
শুধু চীনেই নয়, নানা আয়োজনে বসন্ত উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু ভাষাভাষি মানুষ। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে ভিনদেশের মধ্যেও।
মালয়েশিয়ার গাছপালা এবং গলিগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে লাল লণ্ঠনে। কুয়ালালামপুরের কিছু এলাকা যেনো এক খণ্ড চীনে পরিণত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়। এতে চীনাদের পাশাপাশি স্থানীয়রা ভিড় করেন। সেখানে চীনা সাংস্কৃতিক পরিবেশনারও আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী ড্রাগন নৃত্য এবং বিভিন্ন খাবার স্থানীয়দের খুব আকৃষ্ট করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের প্রাণকেন্দ্রে চীনা বৈচিত্র্যের বিকাশ ঘটেছে। প্রাণবন্ত চীনা সংস্কৃতিতে মুগ্ধ পর্যটকরা। বাদ্যবাজনা বাজিয়ে চীনা নববর্ষকে বরণ করে নেন তারা।
এমন আয়োজনে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের থেকে শুরু করে কেপটাউনের বাসিন্দারাও চীনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বেশি করে শেখার সুযোগটি কাজে লাগান।
চীনা রাশিচক্র অনুযায়ী এটি ড্রাগনের বছর। আর ড্রাগন থিমের পণ্য এবং সাজ সরঞ্জামে ছেয়ে গেছে গোটা চীন।
প্যারিসে বসন্ত উৎসব উদযাপন ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতিতে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কারণ প্যারিসের চায়না কালচারাল সেন্টারে চীনাদের এই উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করা হয় আকর্ষণীয় প্রচারমূলক গালা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলাকালীন, শিক্ষক এবং ফরাসি ছাত্ররা ঐতিহ্যবাহী চীনা যন্ত্রের পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।