চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৪৫
প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী/সম্পাদনা: মাহমুদ হাশিম।
৩. ঢাকায় কনফুসিয়াস ক্লাসরুম উদ্বোধন
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা চীনের বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি এঁকেছেন। অন্যদিকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এঁকেছেন বাংলাদেশের ছবি। সম্প্রতি বাংলাদেশের শান্ত-মারিয়াম ইউনিভারসিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এবং চীনের হোংহ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের আনুষ্ঠানিক পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেখা যায় এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এমন বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের তরুণদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে তোলাই এমন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা। এ উপলক্ষ্যে চীনের ইয়ুননান প্রদেশের হংহ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ঢাকায় এসেছেন প্রতিনিধি দল। হোংহ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোং বো তুলে ধরেন এ আয়োজনের ইতিবাচক দিকের বিষয়টি।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের দশম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে ২০২৩ সালে। মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীন এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ করেছে। দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ ধরনের বিনিময় কার্যক্রমের আয়োজন অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ ।এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব ও বিনিময়ের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
‘বাংলাদেশে দুটি কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও একটি কনফুসিয়াস ক্লাসরুম রয়েছে। তারা চীনা ভাষা শিক্ষা দিচ্ছে। ভাষা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। চীনাভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে তারা দুই দেশের বন্ধুত্বের দূত হবে।’
এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি করে আয়োজিত হওয়া প্রয়োজন বলে মতপ্রকাশ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। প্রতিবছর আরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইয়ুয়ে লি ওয়েন দুই দেশের বন্ধুত্ব গভীর করতে সাংষ্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।