চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২৭
‘যখন আমি এখানে এসেছি, আমার একটিমাত্র স্যুটকেস ছিল। এখন আমার আরেকটি ঢাউস স্যুটকেস হয়েছে। কারণ আমরা যেখানেই গেছি নানান রকম স্যুভেনির, পাইনঅ্যাপেল কেক, হানিকম্ব কেকসহ অনেক উপহার পেয়েছি’।
‘মূল ভূখণ্ডের বন্ধুদের সঙ্গে আমার আলাপ ছিল সহজ-সাবলীল এবং উপভোগ্য। আমাদের মধ্যে কোনো আড়াল ছিল না। আমাদের উচ্চারণে একটু ভিন্নতা আছে বটে, তবে আমার মনে হয়েছে আমি সহপাঠীদের সঙ্গে গল্পসল্প করছি। আমি আশা করি এ ধরনের বিনিময় কর্মসূচি এখন নিয়মিত হবে এবং উভয়পক্ষ পরস্পরকে বোঝার সুযো পাবে’।
তাইওয়ানের চংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কূটনীতি বিষয়ক বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক হুয়াং কুই-বো মনে করেন এ ধরনের সফর উভয় পারের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে।
‘আমি বিশ্বাস করি যে তাইওয়ানের সমাজের অধিকাংশই মূল ভূখণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং ছাত্রদের সফরের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তাইওয়ান প্রণালীর উভয় পাশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ পুনরুদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এ ধরনের বিনিময় গোষ্ঠী নেতৃত্ব দিচ্ছে’।
মূল ভূখণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় গ্রুপের এ আয়োজন প্রণালীর দু’পারের সম্পর্কে নতুন শক্তি যুগিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ কর্মসূচি চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
৩. চিরায়ত চীনা সাহিত্য
কবি ওয়াং চিহুয়ান: অনু কবিতায় অমরত্ব
থাং রাজবংশের প্রথমদিকের একজন কবি ওয়াং চিহুয়ান। তাঁর জন্ম ৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ৭৪২ খ্রিস্টাব্দে। এ সময়কে থাং রাজবংশের স্বর্ণযুগ বলা হয়। কবি চিহুয়ানের জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তিনি থাং রাজবংশের সম্রাট সুয়ানচোংয়ের সময়ে কাব্য চর্চা করেন। ওয়াং চিহুয়ান ওয়াং সু-হুয়ান নামেও পরিচিত।