চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২৩
১৯৮০’র দশক থেকে ফেং তাচোং তাঁর প্রথম ভালোবাসা- বাঘের ছবি আঁকায় মনোযোগী হন ফের। চাংপাই পাহাড়ের সাইবেরিয়ান বাঘের ছবি আঁকতে থাকেন তিনি। স্থানীয় চিড়িয়াখানায় বহুবছর ধরে বিরতীহীনভাবে প্রায় প্রতিদিন বাঘের ছবি এঁকেছেন তিনি।
‘প্রাচীন কাল থেকেই চীনের মানুষ বাঘ-অনুরাগী। বাঘ শক্তি ও সাহসের প্রতীক। চীনা প্রবাদেও বাঘের বলিষ্ঠতা ও প্রাণপ্রাচুর্যের কথা বলা হয়েছে। আমিও আমার ছবিতে বাঘের বলিষ্ঠতা এবং শক্তির প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছি’।
৪০ বছর বয়সের পর ফেং তাচোং শক্তি ও হিংস্রতার দিকটি ছাড়িয়ে বাঘের স্বভাবের বিচিত্রমুখি প্রবণতা অনুসন্ধান করেন। বাঘের প্রাচীন চিত্রকর্ম অনুধাবন আর নিজের স্কেচ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি অনন্য সাধারণ শিল্পরীতি গড়ে তোলে খ্যাতিমান এ বাঘচিত্রি।
‘আমি দেখলাম সঙ্গী এবং শাবকের প্রতি বাঘের ভালোবাসার অনুভূতি রয়েছে, তার প্রকাশ রয়েছে। বাঘের মধ্যে আমি মানবসদৃশ্য স্বভাব আবিষ্কার করলাম। ছবি আঁকতে আঁকতে আমি নতুন অন্তর্দৃষ্টি লাভ করলাম এবং ছবিগুলো স্থায়ীত্ব অর্জন করলো’।
শুধু বড়শিল্পী হিসেবে নয়, শান্তিপ্রিয় ও বিনম্র স্বভাবে সবাইকে মোহিত করেন ফেং তাচোং। প্রথম জীবনে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলেও তাঁর চিত্রকলায় সবসময় তাঁর ভালোবাসাপূর্ণ মন আর গভীর অনুভূতিই চিত্রিত হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------------
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: আবদুল্লাহ আল মামুন, শান্তা মারিয়া, মাহমুদ হাশিম
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ, নাজমুল হক রাইয়ান
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম
সার্বিক তত্ত্বাবধানে: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।