চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২২: বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনজুড়ে ড্রাগনবোট উৎসব
ন্যাশনাল প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বেইজিং মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট, পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চায়না এবং চায়না রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
চীনসহ ৫৬টি দেশ ও অঞ্চলের আড়াই হাজার প্রকাশক মেলায় ২ লাখের বেশি বই সরাসরি ও অনলাইনে প্রদর্শন করেন। শুধু চীনের বইই ছিল ৮০০ ধরনের।
মেলার গেস্ট অব অনার কান্ট্রি ছিল আলজেরিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি এবং গ্রীসসহ ১৪টি দেশের নিজস্ব জাতীয় বুথ ছিল। মেলার ৬০ শতাংশ প্রকাশকই ছিলেন বিদেশি।
মেলায় বই প্রদর্শনী ছাড়াও ইন্টারনেট প্রকাশনা উন্নয়ন ফোরাম, এবং পাঠ প্রচারসহ হাজারের বেশি সাংস্কৃতিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বেইজিং বইমেলা দেশে-দেশে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
বইয়ের মাধ্যমে মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়বে বলে মনে করেন ইরানি অনুবাদক হোসেইন খালিফা।
‘বইমেলার মাধ্যমে আমরা চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেত পারবো। বইয়ের মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক শিক্ষা ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও গভীর করতে পারবো’।
চীনের বৃহত্তম ও প্রভাবশালী প্রকাশনা সংস্থা চায়না পাবলিশিং গ্রুপ যথারীতি এবারও মেলায় সবার নজর কেড়েছে। প্রকাশনা গ্রুপটি মেলায় অতি উচ্চমানের দেড় হাজার বই নিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সাহিত্য-প্রবণতা তুলে ধরে ৫০টি ইভেন্টের আয়োজন করে সংস্থাটি।
চায়না পাবলিশিং গ্রুপের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান পিপলস লিটারেচার পাবলিশিং হাউসের প্রেসিডেন্ট চাং ইয়ংছিং তুলে ধরেন তাদের প্রকাশনার বৈশিষ্টের কথা।
‘আমরা সবার জন্য ভালো বই প্রকাশ করছি। আমাদের লক্ষ্য পরিমাণ নয়, বরং গুণগত মান-বিশেষ করে চীনের মৌলিক সাহিত্যের ক্ষেত্রে’।
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: আবদুল্লাহ আল মামুন, শান্তা মারিয়া, মাহমুদ হাশিম
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম
সার্বিক তত্ত্বাবধানে: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।