বাংলা

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৮: হংকংয়ে মনমাতানো ক্লকেনফ্ল্যাপ মিউজিক অ্যান্ড আর্টস ফেস্টিভ্যাল

CMGPublished: 2023-03-18 21:40:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের তরুণ প্রজন্ম অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রতি নতুনভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে। সুপ্রাচীন চা-সংস্কৃতি নতুনভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে। আধুনিক চায়ের দোকানে জমে উঠছে তরুণদের আড্ডা।

চিরায়ত চীনা সাহিত্য

কবি মং চিয়াও: গণমানুষের দুঃখ-বেদনার ভাষ্যকার

থাং রাজবংশের সময়কার কবিদের মধ্যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে অমর হয়ে আছেন কবি মং চিয়াও। তার কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্যের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুঃখ বেদনা প্রতিফলিত হয়েছে।

মং চিয়াও এর জন্ম ৭৫১ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান চেচিয়াং প্রদেশের দ্যছিং কাউন্টিতে। থাং রাজবংশের সময় এটি ছিল হুচৌ প্রদেশের অধীনে। মং এর শৈশব কাটে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার এক টালমাটাল সময়ে।

মং দক্ষিণ চীনের সন্ন্যাসী কবিদের সান্নিধ্যে অনেকটা সময় কাটান। লুওইয়াং শহরেও তিনি অনেকটা সময় কাটান। সে সময় কয়েকজন কবির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। উদ্দেশ্যহীন ও কর্মহীন জীবনে কবি বেশ ভালো কিছু কবিতা লেখেন।

সে সময়কার দস্তুরমতো সরকারী চাকরির পরীক্ষায় তিনি অংশ নিতে পারেননি। ফলস্বরূপ জীবন ছিল দারিদ্র্য-পীড়িত। পরে মায়ের অনুরোধে তিনি ৪৬ বছর বয়সে সরকারী চাকরির পরীক্ষা চিনশি পাশ করেন। অনেকে বলেন সেই সময়ে তার বয়স ছিল পঞ্চাশ বছর। চাকরি হয়। তবে চাকরিতে মন বসাতে পারেননি মং চিয়াও। অধিকাংশ সময়ে তিনি নদী ও পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতেন। কর্তৃপক্ষ তার উপরে বিরক্ত হয়ে তার কাজ করার জন্য অন্য একজন লোককে নিয়োগ করে এবং মংয়ের বেতন থেকে অর্ধেক অর্থ ওই ব্যক্তিকে দিতে থাকে। ফলে কবির দারিদ্র্য দূর হয় না।

৮১৪ সালে মং চিয়াও মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার উর্ধতন কর্মকর্তারা খুব অনুতপ্ত হন। কবির অন্তেষ্টিক্রিয়া এবং সমাধির জন্য সব খরচ দেন। তার পরিবারের জন্য তারা বেশ কিছু অর্থ সাহায্যও করেন।

মং চিয়াওয়ের একটি বিখ্যাত কবিতা বিদায়ী পুত্রের গান। শ্রোতাদের কবিতাটি শোনাচ্ছি।

বিদায়ী পুত্রের গান

মা নিজের হাতে সুতায় বুনছেন

বিদায়ী পুত্রের জন্য একটি পোশাক

সুঁইয়ের ফোঁড়ে ঝরে পড়ছে মমতা

ছেলেটি কবে আবার ঘরে ফিরবে কে জানে।

শিশু-তৃণ সূর্যের কাছ থেকে যে স্নেহ পায়

তা কি সে কখনও শোধ করতে পারে?

মং চিয়াওয়ের কবিতা চীনের সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতি ও দুঃখ কষ্টকে তুলে ধরেছে আন্তরিক সহানুভূতির সঙ্গে। সেই সময়কার জনজীবনের একটি দলিল হয়ে উঠেছে তার কবিতা। পরবর্তিকালের কবিদের লেখাতেও প্রভাব বিস্তার করেছে তার কবিতার অনেক অনুষঙ্গ। মং চিয়াও তার কবিতায় চীনা জীবনের রূপকার হিসেবে অমরত্ব পেয়েছেন।

----------------------------------------------------------------------

প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: রওজায়ে জাবিদা ঐশী, শান্তা মারিয়া, সাজিদ রাজু

কবিতা অনুবাদ: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn