হানফু ঐতিহ্যে ফিরছে চীন
চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য- ৫
হানফু ঐতিহ্যে ফিরছে চীন
নিজের পরিচয় খুঁজে নেয়ার অন্যতম বাহক পোশাক। কথিত আছে, পোশাক ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। কোনো মানুষের বাহ্যিক পোশাক অনেক ক্ষেত্রে তার ভিতরের রুচিরই প্রকাশ।
হানফু এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাক। ৩০০ বছর আগে বিলুপ্ত প্রায় এ পোশাকের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। মূলত চীনে একটি পোশাক বিপ্লব ঘটছে – লোকেরা যা পরিধান করছে তার পরিচয় খুঁজছে বা জানতে চাচ্ছে।
ক্রমবিকাশমান চীনা শৈলীর সবচেয়ে আইকনিক পোশাক এই হানফু। অপরিহার্য উপাদান হিসেবে, হানফু আজকে চীনের প্রায় সর্বত্র রয়েছে। এমনকি থিম পার্কেও। তরুণদের পাশাপাশি বয়স্করাও হানফুর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবর্তন হচ্ছে। এই ঐতিহ্যগত শিল্পটি আবার এখন শক্তিতে ফিরছে বলে মনে করা হয়। বর্তমানে ২০ মিলিয়নেরও বেশি হানফু উৎসাহী আছে। ২০২২ সালে, হানফুর বাজারের আকার ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও এটি চীনা পোশাক খাতের আয়ের মাত্র ২ শতাংশ। তবু গত ৬ বছরে ৬০ বার বৃদ্ধি পাওয়া ইতিবাচক ব্যাপার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এই খাতে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
চিরায়ত চীনা সাহিত্য
লি শাংইন: শিরোনামহীন কবিতার কবি
থাং রাজবংশের সময়কার কবিদের মধ্যে লি শাংইন এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। তার বিশেষ স্টাইল হলো শিরোনামহীন কবিতা। লি শাংইন থাং রাজবংশের শেষ দিকের কবি। তার জন্মসাল এবং মৃত্যুসাল নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও অধিকাংশ পন্ডিতের মতে ৮১৩ সালে লি শাংইনের জন্ম এবং ৮৫৮ সালে মৃত্যু। সে সময় থাং সাম্রাজ্য পতনের দিকে ছিল। চারিদিকে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে রাজদরবারে ইউনাখ বা খোজাদের প্রতিপত্তি যেমন ছিল তেমনি তারা প্রায়শই ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতেন। লি শাংইন তার ৪৫ বছরের জীবনে ছয়জন সম্রাটের শাসন দেখেছেন।