মানুষ ও প্রকৃতি পর্ব ৬
ওয়াইল্ড এশিয়ান এলিফেন্ট বা বন্য এশীয় হাতি একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অরণ্যে এদের দল বেঁধে ঘুরতে দেখা যায়। তবে অরণ্য ধ্বংস, চোরা শিকার, খাদ্যের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এদের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। চার হাজার বছর আগে চীনের হলুদ নদীর তীরবর্তি অঞ্চলেও ওদের দেখা মিলতো।
এখন ইয়ুননান প্রদেশের অরণ্য অঞ্চলে ওদের কয়েকটি দল বাস করে। গত কয়েক দশকের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষামূলক কাজের ফলে এখন বন্য এশীয় হাতির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তিনশ’র বেশি বন্য হাতি রয়েছে। চিয়াংছ্য কাউন্টিতেই আছে ৫৫টি হাতি।
১৯৮৮ সাল থেকে চীনের বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে প্রথম শ্রেণীর সুরক্ষায় রয়েছে ওয়াইল্ড এশিয়ান এলিফেন্ট।
হাতির দলকে মনিটর করেন এমন একজন কর্মী তিয়াও ফাসিং।
তিনি জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুম দেরিতে শুরু হওয়ায় ভুট্টার ফসল দেরিতে হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদও ফসল পাকবে না। হাতিরা তাই খাবারের খোঁজে এদিক ওদিক ঘুরছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ওরা ঘুরছে বলে তাদের মনিটরিং করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিয়াও যখনি খোঁজ পান হাতির পাল লোকালয়ে এসেছে সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেন। রাস্তায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রিত করা হয়। ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্যে হাতিদের খোঁজ সহজেই পাওয়া যায়।
গ্রামবাসীরা অবশ্য বুনো হাতিদের ক্ষতি করে না। কারণ এই এলাকার বাসিন্দা দাই জাতিগোষ্ঠীর মানুষরা হাতিদের সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করে। তাছাড়া ক্ষেতের ফসল হাতি নষ্ট করলে সরকার থেকে ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়।
কয়েকবছর আগে সিশুয়াংবান্নায় একপাল বুনো হাতি দীর্ঘদিন লোকালয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ উপভোগহ করেছে লোকালয়ে বুনো হাতির পাল বিশেষ করে শাবক হাতিদের মজার কাণ্ডকারখানা।