দেহঘড়ি পর্ব-০৫৪
চিকিৎসা
এমএসের চিকিৎসায় বর্তমানে অধিক হারে মানুষ প্রচলিত পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি পরিপূরক হিসাবে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএম গ্রহণ করছেন। কারণ এমএস রোগীদের জন্য টিসিএম ভেষজ ও আকুপাংচার একটি নিরাপদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি। পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থার ডাক্তারেরা যেমনভাবে এমএসকে দেখেন, টিসিএম চিকিৎসকরা তেমনি করে দেখেন না। চিকিৎসার বেলায় তারা প্রত্যেক রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য, জীবনধারা এবং মানসিক সুস্থতাকে বিবেচনায় নেন। একারণে রোগীভেদে এমএসের টিসিএম চিকিৎসাও ভিন্ন হয়।
টিসিএমে যে নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত সেটি হলো ‘ছি’ বা মূল প্রাণশক্তি মেরিডিয়ান নামক পথ দিয়ে শরীরে প্রবাহিত হয়। যদি সেই ‘ছি’য়ে ভারসাম্যহীনতা বা ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে সেই ভারসাম্যহীনতা বা ঘাটতির স্থানভেদে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এমএসের ক্ষেত্রেও এ নীতি সমানভাবে প্রযোজ্য। এছাড়া জন্মসূত্রে পাওয়া ভারসাম্যহীনতা বা অসুস্থতা, মানসিক চাপ বা বাহ্যিক রোগসৃষ্টিকারী উপাদান যেমন বাতাস বা ক্লেদও এ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
রোগের কারণ নির্ণয়ের পর টিসিএম চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রটোকল ঠিক করে দেন। এর জন্য বাছাই করা হতে পারে টিসিএম ভেষজ বা আকুপাংচার কিংবা দুটোর সংমিশ্রণ। আকুপাংচার চিকিৎসায় চুলের মতো চিকন সূঁই দিয়ে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে নাড়াচাড়া করা হয়। এর লক্ষ্য থাকে ‘ছি’য়ে ভারসাম্য আনা।
এমএম উপসর্গ উপশমে জীবনধারা
এমএস জীবনের প্রতিটি অংশে প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য টিসিএম চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিতে পারেন৷ এর মধ্যে থাকতে পারে কিছু খাদ্য গ্রহণ আবার কিছু খাদ্য বর্জন, নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে যোগব্যায়াম ও থাইছি, মানসিক চাপ হ্রাস ইত্যাদি।