দেহঘড়ি পর্ব-০৪৫
অসাধারণ শৃঙ্খলা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অসামান্য বিশেষত্বের জন্য খ্যাতি রয়েছে এ হাসাপাতালের। সরকারি হাসপাতালের জাতীয় কর্মক্ষমতা মূল্যায়নে এটি তিনবার প্রথম স্থান পেয়েছে। ফুদান বিশ্বদ্যিালয়ের হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত ‘চীনের হাসপাতাল র্যাঙ্কিংয়ে’ পিকিং ইউনিয়ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল টানা ১৩ বছর ধরে শীর্ষে রয়েছে।
রকফেলার ফাউন্ডেশন ১৯২১ সালে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠাতাদের লক্ষ্য ছিল এটিকে ‘এশিয়ার সেরা চিকিৎসাকেন্দ্র’ হিসাবে গড়ে তোলা। বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ হাসপাতাল লালন করে আসছে ‘নির্ভুলতা, ক্রমোন্নতি, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠা’ এবং ‘দেশ ও জনগণের জন্য চিকিৎসা অনুশীলন ও জ্ঞান অন্বেষণের’ আকাঙ্ক্ষাকে। অধ্যাপকবৃন্দ, কেস ফাইল ও লাইব্রেরি – এই ‘তিন সম্পদ’ নিয়ে গর্বিত পিকিং ইউনিয়ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
এই চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানটি ডা. চাং চিয়াওছিয়ান এবং ডা. লিন ছিয়াওচিয়ের মতো চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক পথিকৃৎকে তৈরি ও লালন করেছে। এছাড়াও, বহু বিখ্যাত চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপক গড়ে তুলেছে এ হাসপাতাল, যারা এখন গোটা চীনে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে এ হাসপাতালের চারটি ক্যাম্পাস রয়েছে, যেগুলোর মোট আয়তন ৬ লাখ ১০ হাজার বর্গমিটার। এখানে কর্মরত ৪ হাজার ৩শ’র বেশি কর্মী, যাদের মধ্যে রয়েছেন চীনের বিজ্ঞান একাডেমি এবং চীনের প্রকৌশল একাডেমির ৩ জন শিক্ষাবিদ। আর এ হাসপাতালে রয়েছে ৫৮টি ক্লিনিকাল ও চিকিৎসা প্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি ক্লিনিকাল স্পেশ্যালিটি এবং ৬টি জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। নয়টি বিভাগে চিকিৎসাশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি দেয় এ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানটি।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।