দেহঘড়ি পর্ব-০৪৫
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’ এবং চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ফ্রোজেন শোল্ডারের নানা চিকিৎসা টিসিএমে
ফ্রোজেন শোল্ডার কাঁধের একটি রোগ। এ রোগ হলে কাঁধে ব্যথা হয় এবং কাঁধ শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে কাঁধ নাড়ানো অসুবিধা হয়। তবে আক্রান্ত স্থানে স্পর্শ করা হলে সাধারণত তেমন ব্যথা অনুভূত হয় না। এই রোগকে অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিসও বলা হয়। ফ্রোজেন শোল্ডার সাধারণত পঞ্চাশোর্ধদের হয় এবং এর লক্ষণ ধীরে ধীরে দেখা দেয়। সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে পুরো লক্ষণ দেখা দিতে। কাঁধের চারপাশে পেশী ক্ষয়ের কারণে সাধারণত এটা হয়। হিউমারাস বা বাইসেপ রগ ফেটে যাওয়ার কিংবা কাঁধে আঘাত বা অস্ত্রোপচারের কারণেও এটা হতে পারে। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগের কারণ সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা যায় না। পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এ রোগ।
উপসর্গ
ফ্রোজেন শোল্ডারের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁধে ব্যথা এবং কাঁধ নাড়াচাড়ায় সমস্য। কখনও কখনও এ রোগ হাতের নড়াচড়া পর্যন্ত প্রায় অসম্ভব করে তোলে। এ রোগের তিনটি পর্যায় থাকে। ফ্রোজেন শোল্ডারের প্রাথমিক পর্যায়ের ব্যথা ছয় সপ্তাহ থেকে নয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং ব্যথা বাড়ার সাথে সাথে কাঁধ নাড়াচাড়া করার গতি কমে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যথা ধীর গতিতে বাড়তে থাকে এবং কাঁধ আরও বেশি শক্ত হয়ে যায়। এই পর্যায় সাধারণত চার মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তৃতীয় পর্যায়ে উপসর্গগুলো সরে যেতে থাকে এবং কাঁধের গতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। এ পর্যায়টি সাধারণত পাঁচ থেকে ২৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
টিসিএমের দৃষ্টিতে ফ্রোজেন শোল্ডার