দেহঘড়ি পর্ব-০৩৭
চীনের পাশাপাশি সেইন্ট স্ট্যামফোর্ড মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতালের শাখা রয়েছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ায়। এ হাসপাতালের গবেষণা ও চিকিৎসা সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে বিভিন্ন দেশের খ্যাতমানা ২০টিরও বেশি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
#ভেষজের গুণ
গুণের শেষ নেই মেথির
মেথি ঔষধি গুণে ভরা একটি ভেষজ। ইউনানী, কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটা। মেথিকে পথ্য, মসলা, খাবার - তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে কিংবা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু দূর হয়, বিশেষত কৃমি মরে এবং রক্তের চিনির মাত্রা কমে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত মেথি খান, তাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা কমে। নিয়মিত মেথি খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রাও কমে।
গরমে ত্বকে যে ঘা, ফোড়া ও গরমজনিত ত্বকের অসুখ হয়, সেগুলো দূর করে মেথি। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এ ভেষজ। দীর্ঘদিন ধরে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মেথি প্রাকৃতিক আশীর্বাদস্বরূপ। মেথিতে থাকা বায়োএকটিভ উপাদান যেমন স্যাপোনিনস, মিউসিলেজ ইত্যাদি ছাড়াও এলকালয়েডস যৌগ রয়েছে, যা খাবার ভালোভাবে ভেঙ্গে যেতে সহায়তা করে। মেথি থেকে ষ্টেরয়েডের উপাদান তৈরি হয়।
ভেষজ উদ্ভিদ হিসাবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, নেপাল ইত্যাদি দেশে ব্যবহার করা হয় মেথি। মশলা হিসাবেও মেথির প্রচুর ব্যবহার হয়। এটি পাঁচ ফোড়নের অন্যতম উপাদান। এর পাতা শাক হিসাবেও খাওয়া হয়।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।