দেহঘড়ি পর্ব-০৩৭
টিসিএমের সাহায্যে হামের সম্পূর্ণ নিরাময় এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোগ গড়ে তোলার জন্য এই ফুসকুড়িগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর প্রকাশ দ্রুত করার জন্য নির্দিষ্ট ভেষজ ও ভেষজ ফর্মুলা রয়েছে। ফুসকুড়িগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হওয়ার পর যখন টিসিএমের মাধ্যমে সেগুলো দূর করা হয়, তখন রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে তার শরীরে এই টক্সিন আর থাকে না।
হামের টিসিএম চিকিৎসার মূল লক্ষ্য থাকে শরীর থেকে তাপ ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া এবং এর মধ্য দিয়ে শরীর শীতল করা। তাই, ত্বকের ফুসকুড়িগুলো দূর করার জন্য অতি-শীতল বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভেষজ ফর্মুলা প্রয়োগ করা হয়। ত্বকের তাপ ও বিষাক্ত পদার্থ যাতে দ্রুত ফুসকুড়ি আকারে প্রকাশিত হয়, সেজন্য শুরুতে তীব্র-ঠাণ্ডা প্রকৃতির ওষুধ দেওয়া হয়। পরে মৃদু ঠাণ্ডা বৈশিষ্ট্যের ওষুধ ব্যবহার করা হয়, ‘ইয়িন’ ঠান্ডাশক্তিকে পুষ্ট করার এবং অবশিষ্ট তাপ দূর করার জন্য। ফুসকুড়ির দ্রুত প্রকাশের জন্য ওষুধ প্রয়োগের সময় শরীরে তরল গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
হামের চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর ভেষজ ফর্মুলাগুলোর মধ্যে একটি হল শ্যং মা ক্য ক্যন থাং অর্থাৎ ছিমি ছিফুকা ও পুয়েরারিয়া ক্বাথ। এটি একটি ধ্রুপদী চীনা ভেষজ সূত্র যা ফুসকুড়ির দ্রুত প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে হামের উপসর্গভিত্তিক ভেষজ ফর্মুলা দেওয়া হয়। যেমন জ্বর ও গলাব্যথার জন্য প্রয়োগ করা হয় ইয়িন ছিয়াও সান বা লোসিসেরা ও ফোরচিথিয়া গুঁড়ো; কাঁশি থাকলে দেওয়া হয় ছিং ছি হুয়া থান থাং ছি।
#চিকিৎসার_খোঁজ
ক্যান্সারের এ-টু-জেড চিকিৎসা সেইন্ট স্ট্যামফোর্ড হাসপাতালে
‘সেইন্ট স্ট্যামফোর্ড মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল কুয়াচৌ’ হলো চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতালগুলোর একটি। কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী কুয়াংচৌয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসরকারি খাতের এ হাসপাতালটি। সিঙ্গাপুর পেরিনিয়াল রিয়েল এস্টেট হোল্ডিংস লিমিটেড এবং চায়না বোয়াই মেডিকেল গ্রুপ এটি স্থাপন করে, যৌথ উদ্যোগের আওতায়। সর্বাধুনিক ‘ন্যূনতম আক্রমণাত্মক’ ক্যান্সার চিকিৎসা প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এ হাসপাতালে রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসাবিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ পেশাদার মেডিকেল টিম।