দেহঘড়ি পর্ব-০২৯
হাসপাতালটি দুটি ভাগে বিভক্ত -- সদর দপ্তর ও উত্তর হাসপাতাল। সদর দপ্তরে রয়েছে সমন্বিত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুবিধা, অন্যদিকে উত্তর হাসপাতালের বৈশিষ্ট হলো টিউমার ও যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং সমন্বিত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা। প্রায় ৩ হাজার শয্যার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১ লাখ ৬৭ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে। এখানে কর্মরত ৩ হাজার ৪৪০ জন কর্মীর মধ্যে রয়েছেন ৬৩৬ জন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদ, ৯৫৫ জন মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রীধারী, ২ জন রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিশেষ ভাতাভোগী বিশেষজ্ঞ এবং ১ জন হ্যপেই প্রাদেশিক সরকারের বিশেষ ভাতাভোগী বিশেষজ্ঞ।
একটি জেনারেল হাসপাতাল হিসাবে প্রায় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এই হাসপাতালে। এখানকার বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে নবজাতক ও শিশুরোগ বিভাগ, জরুরি ওষুধ বিভাগ, শ্বাসতন্ত্র বিভাগ, ক্যান্সারবিজ্ঞান বিভাগ, পরিপাকতন্ত্র বিভাগ, রক্তরোগ বিভাগ, চর্মরোগ বিভাগ, স্ত্রীরোগ বিভাগ, পরীক্ষাগার ও থোরাসিক সার্জারি বিভাগ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, হ্যপেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হাসপাতাল নতুন ধারণা, নতুন প্রকল্প, দেশ-বিদেশের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে সব সময়। উচ্চ ও নতুন প্রযুক্তির পাশাপাশি হাসপাতালটি ল্যাপারোস্কোপ, থোরাকোস্কোপ, ভেন্ট্রিকুলোস্কোপ ও হিস্টেরোস্কোপের মতো স্বল্প-আক্রমণাত্মক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। হ্যপেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডক্টরাল ও পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের চিকিৎসাশিক্ষা প্রদানের ভিত্তি এই হাসপাতাল।
চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসাবে অনেক পুরস্কারে পেয়েছে হ্যপেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হাসপাতাল।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।