দেহঘড়ি পর্ব-০২৯
একেক কারণে সৃষ্ট অনিদ্রায় একেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। জানিয়ে দিচ্ছি সেগুলো সম্পর্কে:
লিভারের স্থবিরতার কারণে অনিদ্রা: এ ধরনের অনিদ্রায় ঘুমাতে অসুবিধা হওয়ার পাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন দুঃস্বপ্ন দেখে। এর অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে বিরক্তিভাব, চোখ লাল হওয়া, মাথাব্যথা, মুখে তিক্ততা আসা, তৃষ্ণা, ক্ষুধামন্দা, হলুদ প্রস্রাব ও কোষ্ঠকাঠিন্য।
ইয়িনের অভাবজনিত অনিদ্রা: এ ধরনের অনিদ্রায় ঘুমানো কঠিন হয়ে ওঠে, সারা রাতই ঘুম আসে না কিংবা ঘুম আসলেও বারবার ভেঙ্গে যায়। এর অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে থাকে কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বুক, হাত ও পায়ের তালুতে তীব্র সংবেদনশীলতা, মাথা ঘোরা, কানে শোঁ-শোঁ শব্দ করা, রাতে ঘাম হওয়া, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা, স্বপ্নদোষ, মাসিকের সমস্যা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
কফ-তাপজনিত অনিদ্রা: এ ধরনের অনিদ্রায় ঘুম আসে না, এলেও গভীর হয় না এবং বার বার ঘুম ভাঙে। অনুপযুক্ত খাদ্যের কারণে এমন অনিদ্রা হয়। এ ধরনের অনিদ্রার অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে মনোযোগে সমস্যা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরা, কানে শোঁ-শোঁ শব্দ করা, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা, মাসিকের সমস্যা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
হৃৎপিণ্ড ও প্লীহাতে ঘাটতিজনিত অনিদ্রা: এমন নিদ্রাহীনতায় স্বপ্নের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, সহজে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং পুনরায় ঘুমে ফিরে যেতে অসুবিধা হয়। এ ধরনের অনিদ্রার প্রধান উপসর্গগুলো হলো বিরক্তির অনুভূতি, মাথায় চাপ বোধ করা, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, বুকে টান, গলায় অত্যধিক নিঃসরণ, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা এবং ঢেকুর ওঠা।
হৃৎপিণ্ড ও পিত্তথলিতে ঘাটতিজনিত অনিদ্রা: এমন অনিদ্রায় স্বপ্ন বিঘ্নিত হয় এবং ভয়ের কারণে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ ধরনের অনিদ্রার অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে ভয়, বুক ধড়ফড়ানি, শ্বাসকষ্ট, প্রফুল্লতার ঘাটতি, ক্লান্তি, সহজে ঘামা এবং পরিষ্কার ও অধিক প্রস্রাব।