দেহঘড়ি পর্ব-০২৫
টিসিএমে পেপটিক আলসারের চিকিত্সা সবার জন্য এক নয়; আলসারের কারণ ও লক্ষণের ভিন্নতা অনুসারে চিকিৎসাও ভিন্ন হয়। জানিয়ে দিচ্ছি সে সম্পর্কে।
ঘাটতি ও ঠান্ডাজনিত কারণে আলসার হলে রোগী একটি ধীর এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা অনুভব করেন, যা উষ্ণতা ও ম্যাসাজে উপশম হয়। এ ধরনের আলসারে পেট খালি থাকলে ব্যথা হয়, কিন্তু খাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা উপশম করা যায়। এ আলসারের অন্য উপসর্গগুলো হলো ক্লান্তি, ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, বাহু ও পায়ে ব্যথা, মুখ ও গলায় শুষ্কতা, ফ্যাকাশে জিহ্বা এবং দুর্বল নাড়ি। এ ধরনের আলসারে টিসিএম চিকিৎসকরা সাধারণত সিয়াও চিয়ানচুং থাং, হুয়াংছি চিয়ানচুং থাং কিংবা লিচুং থাং প্রেসক্রাইব করেন।
ঠান্ডা ও তাপজনিত আলসার হলে রোগী পেটের উপরের অংশে ভার অনুভব করেন। পাশাপাশি থাকে ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব এবং পেটে আওয়াজ। ঠাণ্ডা বা গরম খাবার এ ধরনের আলসারকে আরও খারাপ করে। এর অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে পা ঠাণ্ডা হওয়া, আলগা মল, শরীরের উপরের অংশে গরম অনুভূতি, জিহ্বা লাল হওয়া এবং সেখানে হলুদ ও সাদা চর্বির প্রলেপ থাকা। এ ধরনের আলসার হলে সিটিএম চিকিৎসকরা প্রেসক্রাইব করেন ব্যানসিয়া সিয়েসিন থাং কিংবা ফুজি সিয়েসিন থাং।
‘ছি’ ও রক্তে স্থবিরতার কারণে পেপটিক আলসার হলে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে স্থির ও ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা অনুভূত হয়। সঙ্গে থাকে ক্ষুধামন্দা, বুকে চাপ, টক ঢেকুর ও দীর্ঘশ্বাস। মানসিক অস্থিরতায় এ লক্ষণগুলো আরও তীব্র হয়। এর অন্য উপসর্গগুলো হলো শরীরে ঘা, শুষ্ক পা, চোখে গাঢ় বেগুনি চক্র এবং ঠোঁটে গাঢ় বেগুনি রঙ। এ ধরনের আলসারে টিসিএম চিকিৎসকরা প্রেসক্রাইব করেন তা ছাইহু থাং ও কুইচি ফুলিং ওয়ান কিংবা সুয়েফু চুইয়ু থাং।
কতগুলো জীবনযাপন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করা যায়। মেনে চলতে পারেন এগুলো:
• নিয়মিত খাবার খান, এক বেলায় বেশি খাবেন না আবার কোনও বেলার খাবার বাদ দিবেন না।