দেহঘড়ি পর্ব-০২৫
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় টিসিএম
পাশ্চাত্য চিকিৎসা ব্যবস্থামতে, পেপটিক আলসার হলো পাকস্থলীর ভিতরের আস্তরণে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরের অংশে বিকশিত ঘা বা ক্ষত। ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাব্যবস্থা বা টিসিএমে আলসারের উপসর্গের প্রকৃতি অনুসারে ‘পেট ব্যথা’ বা ‘এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। পেপটিক আলসার যে কোন বয়সে হতে পারে, তবে এ রোগ বেশি দেখা যায় অল্প বয়স্কদের মধ্যে। চিকিত্সা না করা হলে এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত এবং ক্যান্সারের মতো জটিলতার কারণ হতে পারে।
টিসিএমে মনে করা হয়, পেপটিক আলসার বহিরাগত প্যাথোজেন, খাওয়ার অনিয়ম, মেজাজ বিগড়ানো এবং প্লীহা ও পাকস্থলীর দুর্বলতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এসবের কারণে পাকস্থলির মূল শক্তি বা ‘ছি’ প্রতিবন্ধকতাহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে না কিংবা ভুল দিকে প্রবাহিত হয়, কিংবা পেটের রক্ত চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়, যার ফলে হার্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, হেঁচকি বা ঢেকুর হয়। টিসিএমে রোগ নির্ণয় করা হয় চারটি পরীক্ষার মাধ্যমে -- দেখা, শোনা ও গন্ধ নেওয়া, অনুসন্ধান ও নাড়ির গতি।
পেপটিক আলসারের সাধারণ লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। ব্যথা সাধারণত এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে বা উপরের পেটে হয় এবং এটা হয় খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে বা পেট খালি হলে। এ ব্যথা সাধারণত এক বা দুই ঘন্টা স্থায়ী হয়, তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। খাবার বিশেষ করে উষ্ণ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ব্যথা উপশম করা যায়। ব্যথার পাশাপাশি অন্য উপসর্গগুলো হলো ঢেকুর ওঠা, অতিরিক্ত লালা আসা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। পেপটিক আলসার বেশিরভাগই অল্পবয়স্কদের মধ্যে হয়। খাদ্য, ঋতু, বা প্লীহা ও পাকস্থলীর ক্ষতি করে এমন ওষুধ গ্রহণের সাথে এটি সম্পর্কিত।