দেহঘড়ি পর্ব-০১৯
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় চিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানচিংয়ে অবস্থিত হাসপাতালটিতে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার এবং এখানে কর্মীর সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি, যার মধ্যে রয়েছেন ৯শ জন অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক এবং ৩৯৫ জন মাস্টার্স ও ডক্টরাল পর্যায়ের সুপারভাইজার।
চীনে একটি আধুনিক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ড্রাম টাওয়ার হাসপাতাল। এ প্রকল্পের পিছনে ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যায় চীনের খ্যাতিমান পণ্ডিত অধ্যাপক ছি খাং এবং ক্যানাডিয়ান মিশনারি ডাক্তার ম্যাকলিন। ২০২০ সালে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর কর্মক্ষমতা মূল্যায়নে যে র্যাংকিং করে, তাতে এ হাসপাতালটির অবস্থান ছিল জাতীয়ভাবে ১৯তম এবং প্রদেশ-পর্যায়ে প্রথম।
ড্রাম টাওয়ার হাসপাতালে রয়েছে ১০টি জাতীয়-পর্যায়ের মূল বিভাগ, ৩টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা কেন্দ্র, ৭টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের মূল চিকিৎসা বিভাগ, ৪টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের চিকিৎসা উদ্ভাবন দল, ২৯টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের বিশেষ ক্লিনিকাল বিভাগ, ১০টি প্রাদেশিক মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং ৮টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের বিশেষ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র।
ফুদান জেনারেল হাসপাতাল-তৈরি জাতীয় র্যাংকিংয়ে ড্রাম টাওয়ার হাসপাতালের রিউমাটোলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের অবস্থান চতুর্থ এবং প্রজনন ওষুধ বিভাগের অবস্থা ষষ্ঠ। এর অনকোলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিকস, অ্যানেস্থেসিওলজি, নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও ফার্মেসি জাতীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত।
#ভেষজের গুণ
চাইনিজ ইয়াম
চাইনিজ ইয়াম একটি লতাজাতীয় গাছ, যা এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় জন্মে। চীনা ভাষায় একে বলা হয় শান ইয়াও। চাইনিজ ইয়াম প্রধানত পেট ও প্লীহার পীড়া সারাতে ব্যবহৃত হয়। তবে ফুসফুস, কিডনি সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, হাঁপানি, শুকনো কাশি, ঘনঘন মূত্রবেগ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়ও এটি সাহায্য করে। চাইনিজ ইয়ামের শিকড়ই মূলত খাদ্য হিসাবে খাওয়া হয়, যদিও এর বাল্ব খাওয়া যায়। এর শিকড়ে ডায়োসজেনিন থাকে, যা ল্যাবে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মতো স্টেরয়েড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।