দেহঘড়ি পর্ব-০১৯
বৃহদান্ত্রে তাপের কারণে সৃষ্ট ঘায়ের বৈশিষ্ট হলো এটা হয় মাড়ির উপরের অংশে এবং এতে জিহ্বায় হলুদ আবরণ দেখা দেয়। হৃদপিণ্ডে তাপজনিত ঘা হয় জিভের ডগায়। এর সঙ্গে অন্য যেসব উপসর্গ থাকে সেগুলো হলো দ্রুত হৃদস্পন্দন, অনিদ্রা, অস্থির স্বপ্ন, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, মুখে তিক্তভাব এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি।
যকৃতের তাপের কারণে যখন মুখের ঘা হয়, তখন সেগুলো হয় মুখের ভিতরে। এটা লাল রঙের ও খুব বেদনাদায়ক হয়। এর সঙ্গে যে উপসর্গগুলো থাকে সেগুলো হলো মুখ লাল হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা, ঘন ঘন রাগ ওঠা, কোষ্ঠকাঠিন্য, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, এবং প্রস্রাব গাঢ় হয়ে যাওয়া।
টিসিএম চিকিৎসকরা উপসর্গের ভিত্তিতে মুখের ঘায়ের ওষুধ বা ভেষজ ফর্মুলেশন প্রেসক্রাইব করেন। তবে সাধারণত যেসব ওষুধ ও ভেষজ সূত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো তা হুয়াং, শাং তি হুয়াং, লিউ ওয়েই তি হুয়াং ওয়ান। ভেষজগুলো খাওয়া যায় আবার গুড়ো করে সরাসরি ঘায়ের ওপর প্রয়োগ করা যেতে পারে।
যারা মুখের আলসারে ভুগছেন তাদের মশলাদার খাবার, কড়া ভাজা খাবার বা অ্যাসিডিক ফল যেমন সাইট্রাস ফল এড়িয়ে চলতে হবে; খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; কোষ্ঠকাঠিন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
#চিকিৎসার_খোঁজ
নানচিং ড্রাম টাওয়ার হাসপাতাল
নানচিং ড্রাম টাওয়ার হাসপাতাল চীনে পশ্চিমা চিকিৎসার সূচনাকারী প্রথম দিকের হাসপাতালগুলোর একটি। ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই হাসপাতাল চিকিৎসা, চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও রোগ ব্যবস্থাপনার প্রায় সকল ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে এবং দ্রুত উন্নয়ন সাধন করেছে। নিয়মতান্ত্রিকতা, শক্তিশালী ফ্যাকাল্টি, অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক গবেষণা সক্ষমতা নিয়ে একটি সর্বোচ্চ স্তরের হাসপাতাল হিসাবে বিকশিত হয়েছে ড্রাম টাওয়ার হাসপাতাল।