দেহঘড়ি পর্ব-০১৮
গোজি বেরি: গোজি বেরি কিডনিকে শক্তিশালী করতে, ইয়িন ও ইয়াংয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ‘জিং’কে শক্তিশালী করতে এবং কিডনি ইয়াংয়ের ঘাটতিজনিত ক্লান্তি দূর করতে অসাধারণ কাজ করে। কিডনিতে ইয়িনের ঘাটতি থাকলে, সেক্ষত্রে গোজি বেরি জীবনীশক্তি যোগায় এবং হালকা মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি দেয়। এ ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
রেহমানিয়া: কিডনিতে ইয়িনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের তরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রস্রাবের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে রেহমাননিয়া ভাল কাজ করে। এ ভেষজকে ইয়িন ঘাটতি মেটানোর টনিক হিসাবে নেওয়া হয়। এছাড়া একে রক্তের টনিক হিসাবেও গ্রহণ করা হয়, যার ফলে অনিদ্রা ও মাসিকের অনিয়ম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্যারেনওয়োর্ট (Barrenwort):
কিডনির ইয়াং ঘাটতি দূর করা মাধ্যমে শরীরে তরলের ভারসাম্যহী বজায় রাখতে, প্রস্রাবের স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর যৌনক্ষমতা অটুট রাখতে টনিক হিসাবে ব্যবহার করা হয় ব্যারেনওয়োর্ট ভেষজ। ইয়াংকে পুষ্ট করার মাধ্যমে হাড়ের শক্তি বাড়ানো এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা উপশমের জন্যও টিসিএমে এ ভেষজ ব্যবহার করা হয়।
কিডনির প্রাকৃতিক সুরক্ষা
কতগুলো প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চললে কিডনি সুস্থ থাকে।
· কিডনি ও মূত্রাশয় ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীল। তাই ঠান্ডা আবহাওয়ায় উষ্ণ কাপড় পরুন এবং পিঠের নীচের অংশ যাতে ঠান্ডা হয়ে না যায়, সেজন্য বিশেষ যত্ন নিন।
· যখন প্রয়োজন হয়, পিঠের নিচের অংশে গরম পানির বোতল বা হিট প্যাক লাগিয়ে কিডনি ও এর সঙ্গে সংযুক্ত অংগুলোকে উষ্ণ রাখুন। প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন। তবে অ্যালকোহল, কোমল পানীয় ও কফি বেশি গ্রহণ করবেন না।
· কিডনি ও এর সঙ্গে যুক্ত অঙ্গগুলোর সুস্থতা রঙের সঙ্গেও সম্পৃক্ত টিসিএমে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, নীল ও কালো খাবারগুলো কিডনিকে শক্তিশালী ও পুষ্ট করে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় বেগুন, কালো তিল, কালো মটরশুটি, কাঠে জন্ম নেওয়া মাশরুম, বরই ও সামুদ্রিক শৈবাল অন্তর্ভুক্ত করুন।