দেহঘড়ি পর্ব-০১৬
ফুসফুসের মেরিডিয়ানে তাপজনিত নাসাভঙ্গ
ফুসফুসের মেরিডিয়ানে অতিরিক্ত তাপ জমা হলে অনুনাসিক ফোঁটা উজ্জ্বল লাল হয়, চরম শুষ্কতা দেখা দেয় এবং নাকের পথে সংবেদনশীলতা বাড়ে। এছাড়া শুষ্ক কাশি, মুখের শুষ্কতা বা জ্বরের অনুভূতিও হতে পারে। জিহ্বা লাল ও হলুদ আবরণে আবৃত হয় এবং নাড়ি দ্রুত হয়। এই ভারসাম্যহীনতা প্রায়ই শুষ্ক মৌসুমে বা সাধারণ ঠান্ডার সময় ঘটে। এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয় তুঁত পাতা ও চন্দ্রমল্লিকা ক্বাথের সঙ্গে পিওনি মূলের ছাল, পালঙ্ক ঘাসের মৌলকাণ্ড ও আর্বোর্ভিটার পাতাযুক্ত ডাল।
পেটে তাপজনিত নাসাভঙ্গ
এক্ষেত্রে রক্তপাত হয় গুরুতর এবং রক্তের রং হয় উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় লাল। এছাড়াও অনুনাসিক প্যাসেজে শুষ্কতা, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মুখের শুষ্কতা, মাড়ির ফোলাভাব, তৃষ্ণা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রস্রাব কমার সঙ্গে জ্বালাপোড়া হতে পারে। জিহ্বা লাল ও হলুদ আবরণে আচ্ছাদিত হয় এবং নাড়ি দ্রুত বয়। যারা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও মশলাদার খাবার বা অ্যালকোহল গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এর প্রতিকারের জন্য ব্যবহার করা হয় জেড ওমেন ক্বাথের সঙ্গে খাগড়ার মৌলকাণ্ড, আর্বোর্ভিটা পাতাযুক্ত ডাল এবং পালঙ্ক ঘাসের মৌলকাণ্ড।
লিভারে তাপজনিত নাসাভঙ্গ
এক্ষেত্রে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং রক্তের রং হয় গভীর লাল। এর অন্য যেসব বৈশিষ্ট থাকে সেগুলো হলো মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, মুখে তিক্ত স্বাদ বা মুখে শুষ্কতা, লাল মুখ, রক্তাক্ত চোখ, বিরক্তি ও পাঁজরের পাশে অস্বস্তি। জিহ্বা লাল ও হলুদ আবরণে আবৃত হয় এবং নাড়ি দ্রুত বয়। এর প্রতিকার সম্ভব জেন্টিয়ান ক্বাথের সঙ্গে খাগড়ার মৌলকাণ্ড, আরবোর্ভিটা পাতাযুক্ত ডাল এবং ইন্ডিয়ান ম্যাডারের শিকড়ের ফর্মুলেশন ব্যবহারের মাধ্যমে।
কিডনি ও লিভারের তাপজনিত নাসাভঙ্গ
এর লক্ষণ হলো নাক দিয়ে থেমে থেমে হালকা রক্ত পড়া। এছাড়া মুখের শুষ্কতা, মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, কানে আওয়াজ, ধড়ফড়, অনিদ্রা, হাতের তালুর উষ্ণতা দেখা দিতে পারে। জিহ্বা গভীর লাল বা কোমল দেখাতে পারে এবং সামান্য আবরণে আবৃত হতে পারে। এক্ষেত্রে নাড়ি দ্রুত বয়। এই ভারসাম্যহীনতা তাদের মধ্যে ঘটে, যারা দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা রোগে ভুগছে। এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয় রেহমাননিয়া ফুল গাছের পিলের সঙ্গে অ্যানিমারহেনার মৌলকাণ্ড, আমুর কর্ক গাছের ছাল, লাল পিওনি গাছের শিকড়, পিওনির ছাল এবং পালঙ্ক ঘাসের মৌলকাণ্ড।