দেহঘড়ি পর্ব-০০৭
#চিকিৎসার_খোঁজ
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক হাসপাতাল
চীনের হাসপাতালগুলোর অন্যতম রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক হাসপাতাল। এটি একটি অপেক্ষাকৃত নতুন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালের মার্চ থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং এখনও চলছে। এ হাসপাতালের পুরো কাজ যখন শেষ হবে, তখন এর ফ্লোর স্পেস হবে ৩৩ লাখ বর্গফুট, যা একক হাসপাতাল হিসাবে গোটা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।
বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থল চুংকুয়ানছুন লাইফ সায়েন্স পার্কে অবস্থিত এ হাসপাতালে বিনিয়োগ করেছে বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল গ্রুপ। এটি প্রতিষ্ঠায় ব্যয় হচ্ছে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত এ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক চিকিৎসা বীমা, বাণিজ্যিক বীমা, গণস্বাস্থ্যসেবা এবং বিদেশি বিমার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এখানে।
ছত্রিশটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ৪৯টি চিকিৎসা বিভাগ রয়েছে এই হাসপাতালে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে এটি অসংখ্য শক্তিশালী বিভাগ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম কার্ডিওভাসকুলার বিভাগ, নিওপ্লাজম/ব্লাড বিভাগ, চক্ষুবিদ্যা বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিভাগ, স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগ, ইউরোলজি বিভাগ এবং রেনাল ডিজিজ বিভাগ।
দুই ধাপে এ হাসপাতালে গড়ে তোলা হচ্ছে ২ হাজার শয্যা। বহির্বিভাগে এখানে প্রতিদিন চিকিৎসা দেওয়া হয় ১০ হাজার রোগীকে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য রয়েছে একটি বড় জরুরি বিভাগ। এখানে বিশেষায়িত সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে কার্ডিওভাসকুলার সেবা, অনকোলজি, মহিলা এবং শিশুদের সেবা। এ হাসপাতালে কাজ করেন দেশবরেণ্য অনেক চিকিৎসক ও গবেষক। আন্তর্জাতিক বিমার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এ হাসপাতাল চীনা রোগীদের পাশাপাশি অসংখ্য বিদেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।