দেহঘড়ি পর্ব-০০৭
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
মোসুমী অ্যালার্জি সারাতে টিসিএম
আপনার কি নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সর্দি হচ্ছে এবং চোখে পানি আসছে? কিংবা আপনার কি শরীর চুলকাচ্ছে বা ত্বকে ফুসকুড়ি উঠছে? এমন যদি হয়, তাহলে আপনি সম্ভত মৌসুমী অ্যালার্জিতে ভুগছেন কিংবা কিছু নির্দিষ্ট খাবার বা রাসায়নিকের প্রতি আপনার অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মৌসুমী অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে আপনি চেষ্টা করতে পারেন ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা বা টিসিএম। টিসিএম আকুপাংচার ও ভেষজ কেবল অ্যালার্জির উপসর্গগুলোই উপশম করতে সাহায্য করে না, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
অ্যালার্জি হয় তখন, যখন আপনার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কিছু পদার্থের প্রতি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এসব পদার্থের মধ্যে থাকে ফুলের পরাগ, পোকামাকড়ের বিষ, বাতাসে থাকা রাসায়নিক বা কিছু খাবার। শরীর এসব পদার্থটি একটি হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। সর্দি, চোখ দিয়ে পানি ঝরা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও হাঁচির মাধ্যমে শরীর এমন অ্যালার্জেনগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অ্যালার্জির কারণে ফুসফুস ও ব্রঙ্কিয়াল টিউবে প্রদাহ হতে পারে, যার ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এ অবস্থাই হলো হাঁপানি।
খাদ্যে বেশি হারে অ্যাডেটিভ ব্যবহার এবং পরিবেশে রাসায়নিক দূষণকারী ও অন্যান্য অ্যালার্জেন পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সব বয়সের মানুষের মধ্যে অ্যালার্জি বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিসিএম ও আকুপাংচারকে মৌসুমী অ্যালার্জি, রাইনাইটিস, সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জি-সৃষ্টি হাঁপানিসহ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেওয়ার সহায়ক পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত দিয়েছে।