দেহঘড়ি পর্ব-০০২
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
লিভার ফাইব্রোসিস প্রতিরোধে টিসিএম
লিভার ফাইব্রোসিস হলো যকৃতের সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি। প্রায় সব দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগের ক্ষেত্রে লিভার ফাইব্রোসিস ঘটে এবং এটা শেষমেষ লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলোর মধ্যে ১৩তম। গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স উপাদান বেশি জমা হওয়া এবং হেপাটিক সাইনোসয়েডাল এন্ডোথেলিয়াল কোষের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার কারণে লিভার ফাইব্রোসিস হয়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, লিভার ফাইব্রোসিস ইন্টেসটিনাল ফ্লোরার ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে এবং এনএডিপিএইচ অক্সিডেস ফোর এবং আরএইচওএ হেপাটিক স্টেলেট কোষগুলিকে সক্রিয় করে লিভার ফাইব্রোসিসের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে পারে, যার ফলে ডিসব্যাকটেরিওসিস হয়।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএম ইন্টেসটিনাল ফ্লোরা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে লিভার ফাইব্রোসিস প্রতিরোধ করে। আসুন জেনে নেই লিভার ফাইব্রোসিস প্রতিরোধে কী কী টিসিএম ব্যবহার করা হয় এবং সেগুলো কীভাব কাজ করে:
অ্যাস্ট্রাগ্যালাস
অ্যাস্ট্রাগ্যালাস পলিস্যাকারাইড অ্যাস্ট্রগ্যালাস মেমব্রেনাসিয়াস উদ্ভিদের একটি নির্যাস যেটি ইন্টারলেউকিনের মতো প্রদাহের কারণগুলো হ্রাস করে। অ্যাস্ট্রাগালাস পলিস্যাকারাইডগুলো অন্ত্র এলাকায় ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাকটেরিয়ামের উৎপাদন বাড়াতে পারে এবং সালমোনেলা টাইফির সংখ্যা কমাতে পারে, যা ফলে প্রদাহ কমে। অ্যাস্ট্রাগালাস পলিস্যাকারাইড ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেও প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব প্রয়োগ করতে পারে। উপরন্তু, মেমব্রেনাসিয়াস ইন্টেসটিনাল ফ্লোরার গঠন পরিবর্তন করতে পারে এবং এর বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে। এর ফলে লিভার ফাইব্রোসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।