দেহঘড়ি পর্ব-১০২
#কী_খাবো_কী_খাবো_না
যে কারণে আদা খাবেন শীতে
আদায় থাকে জিঞ্জেরল নামের কার্যকরী এক উপাদান যা আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখবে সবসময়। দেবে নানা রকম স্বাস্থ্য সুবিধা। এই জিঞ্জেরল মূলত শরীরকে তরতাজা রেখে দূরে রাখে সাধারণ সর্দি-কাশি। তাই ঠান্ডা এবং কাশির লক্ষণগুলো কমাতে দারুণ কার্যকর প্রকৃতির এই উপহার- আদা। এবং এই কারণেই এই শীতে আদা হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপাদান।
শীতে বাইরের প্রকৃতিই যে কেবল রূপ পরিবর্তন করে তা কিন্তু নয়। শীতের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পোশাক, খাবার এবং চারপাশের পৃথিবীও বদলাতে শুরু করে। শীতের খাবারের তালিকায় গাজরের হালুয়া, সর্ষে শাক, খেজুর গুড়ের পিঠা-পায়েস তো থাকেই, সেইসঙ্গে একটি উপাদান আমাদের প্রতিদিনের খাবারে রাখা জরুরি। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, আমাদের স্যুপ, চা, সবজি, মাংসের কারি সবকিছুতেই বাড়তি স্বাদ ও গন্ধ যোগ করে আদা। শীতকালে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে খাবারে আদার ব্যবহার করা জরুরি। কারণ এটি আমাদের ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। জেনে নিন শীতে আদা খাওয়ার উপকারিতা-
কফ দূর করে করে আদা
পুষ্টিবিদদের মতে, বুকে আটকে থাকা কফ পরিষ্কার করার জন্য আদা ভীষণ কার্যকর পরিচিত। যে কারণে এ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদা খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা
আদায় থাকে প্রচুর ভোলাটাইল অয়েল। এই তেলের আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এই উপাদান আদাকে সর্দি-কাশি ও ফ্লু নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই শীতের মৌসুমে খাবারের তালিকায় আদা যোগ করা ভীষণ জরুরি।
আদা রোধ করে প্রদাহ
আদা খেলে তা আমাদের শরীরে প্রদাহের প্রভাব কমাতে কাজ করে। ফলে সংক্রমণের মাত্রা খারাপ হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এমনকী এটি হজমেও সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আদা।