দেহঘড়ি পর্ব-১০২
দেহঘড়ি পর্ব-১০২
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
একজিমার চিকিৎসায় টিসিএম
একজিমা খুব সাধারণ একটি রোগ। সাধারণত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়। একজিমার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুসকুড়ি ও ফুলে যাওয়া ত্বক যেখানে প্রবল চুলকানি হয়। এর পার্শ্ব উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে ক্লান্তি, মানসিক চাপ ও অনিদ্রা।
একজিমা কেন হয়?
কেন মানুষের ত্বকে একজিমা হয় সেটা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে বংশগত বা পরিবেশগত কারণ এর জন্য দায়ী হতে পারে বলে মনে করা হয়। একটি তত্ত্ব হলো যে, কোনও কোনও অ্যালার্জেন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রদাহ হয়। এই প্রদাহই একজিমার অনাকাঙ্ক্ষিত উপসর্গের দিকে নিয়ে যায়।
টিসিএমের দৃষ্টিকোণ থেকে একজিমা
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএমে মনে করা হয়, ত্বক সরাসরি ফুসফুসের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের ত্বক আমাদের ফুসফুসের সঙ্গে এতটাই অবিচ্ছেদ্য যে টিসিএমে এটিকে প্রায়শই তৃতীয় ফুসফুস হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ত্বকের ছিদ্রগুলোকে ছোট দরজা হিসাবে কল্পনা করা যেতে পারে, যার মাধ্যমে আমাদের অত্যাবশ্যকীয় শক্তি বা ‘ছি’ প্রবাহিত হয়। এসব দরজা অত্যাবশ্যকীয় শক্তিকে আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবাহিত করে এবং এবং শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ প্রক্রিয়া বোঝার একটি সহজ উপায় হলো এটা উপলব্ধি করা যে, কীভাবে ঘাম আমাদের ত্বকের ছিদ্র দিয়ে আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং অপ্রয়োজনীয় লবণ বের করে দেওয়ার মাধ্যমে শরীরকে শীতল করে।