দেহঘড়ি পর্ব-১০২
একজিমার চিকিৎসায় চাইনিজ মেডিসিন
একজিমার চিকিৎসায় বিস্ময়করভাবে কাজ করে টিসিএম। এর পক্ষে বহু প্রমাণ রয়েছে। টিসিএম একজিমা দূর করতে সাহায্য করে এবং এই রোগ থেকে দীর্ঘস্থায়ী পরিত্রাণ দেয়।
মস্কিবাস্টন হলো একজিমার জন্য একটি চীনা ভেষজ চিকিৎসা। এ চিকিৎসায় ত্বকে ভেষজ প্রয়োগ করা হয়। যখন এ ভেষজ যখন গরম করা হয়, তখন এমন উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে যা শরীরকে শিথিল করে এবং শরীরে পুষ্টি যোগায়। একজিমার জন্য এই চীনা ভেষজ ওষুধটি ত্বকের জ্বালা ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মক্সিবাস্টন একজিমা একটি একটি শক্তিশালী চিকিৎসা।
একজিমার জন্য আকুপাংচার আরেকটি খুব সহায়ক চিকিৎসা। এই টিসিএম চিকিৎসা শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বের করতে খুব কার্যকর। আকুপাংচার চিকিৎসায় ফুসফুসের ভাল কার্যকারিতার জন্য জীবাণুমুক্ত স্টেইনলেস স্টিলের সূঁচ ব্যবহার করা হয়। রোগীর হাত, পা ও পিঠ বরাবর সূঁচ ঢোকানো হয়; তবে ত্বকের চুলকানির জায়গায় সূঁচ ব্যবহার করা হয় না। এ চিকিৎসা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর।
একজিমার জন্য চাইনিজ ভেষজ ওষুধ
অ্যানিমারহেনা রাইজোম, যা চীনা ভাষায় চি মু নামে পরিচিত, একজিমার সবচেয়ে কার্যকর চীনা ভেষজগুলোর একটি। এটি শরীরে ভিতরের তাপ দূর করতে সাহায্য করে। এ রোগের চিকিৎসায় চিয়াও ফেং সানও নেওয়া যেতে পারে। এ ভেষজও শরীর থেকে তাপ বের করে দেয়। একজিমার অন্যান্য চীনা ভেষজ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে তুং ছুই, ষষ্টি মধু ইত্যাদি। - রহমান
# আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি নরমাল ডেলিভারি বা অস্ত্রপচার না করে সন্তান প্রসবের জন্য সহায়ক অবকাঠামো বাংলাদেশে আছে কী না তা নিয়ে। সরকারি হিসাব বলছে, বাংলাদেশে বর্তমানে নরমাল ডেলিভারির হার ৬৯ শতাংশ এবং সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনের হার ৩১ শতাংশ। নরমাল ডেলিভারির হার গ্রামাঞ্চলে বেশি শহরের তুলনায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শহরাঞ্চলে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার বেশি হওয়ার কারণ এক শ্রেণীর হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি। তাদের মতে, অস্ত্রপচার ছাড়াই যেসব মায়ের সন্তান প্রসব সম্ভব, হাসপাতাল ও চিকিৎসকের কারণে তাদেরকেও অনেক সময় সিজারিয়ান সেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুমাইয়া আখতার। তিনি কর্মরত ওজিএসবি হাসপাতালে, কনসালট্যান্ট হিসাবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছে হাবিবুর রহমান অভি।