দেহঘড়ি পর্ব-১০০
আইভিএফ ও অন্যান্য সহায়ক প্রজনন থেরাপি
আজকাল অনেক দম্পতি ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন-আইভিএফ কিংবা ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনজেকশন-আইইউআই এর সহায়তায় প্রজনন থেরাপি নিয়ে থাকেন। বর্তমানে টিসিএম’র একটি ভীষণ কার্যকর ব্যবহার হলো আইভিএফ’র আগে এবং অব্যবহিত পরে আকুপাংচার নেওয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, আইভিএফ চিকিত্সার আগে ও পরে আকুপাংচার নিয়েছেন এমন নারীদের গর্ভধারণের হার যারা ওই সময় আকুপাংচার নেননি তাদের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। আইভিএফ ও অন্যান্য সহায়ক প্রজনন থেরাপিগুলো খুব ব্যয়বহুল ও মানসিকভাবে কষ্টদায়ক। অন্যদিকে টিসিএম’র খরচ অতি সামান্য এবং সাধারণত এ চিকিৎসা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। টিসিএম চিকিৎসকরা মনে করেন, মানসিক চাপ যদি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়, তাহলে দম্পতিদের উচিৎ আইভিএম চিকিৎসা নেওয়ার আগে কয়েক মাস ধরে টিসিএম ব্যবহার করে দেখা। কেউ যদি ইতোমধ্যেই আইভিএফ চিকিৎসা শুরু করে থাকেন, তাহলে তাদেরও উচিৎ অনতিবিলম্বে টিসিএম থেরাপি নেওয়া। - রহমান
# আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগের চিকিৎসা অবকাঠামো নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে হৃদ্রোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান। মৃত্যুর পাশাপাশি পঙ্গুত্ব বা শারীরিক অক্ষমতার জন্য স্ট্রোককেই বেশি দায়ী করা হয়। বাংলাদেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। দেশে এক বছরে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে মারা গিয়েছিলেন ৪৫ হাজার ৫০২ জন। ২০২০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ৩৬০ জনে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতার ঘাটতি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য গ্রহণের প্রবণতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনসহ নানা কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে বাড়ছে মৃত্যুও। দেশের ৬৪টি জেলার ২৫ হাজার ২৮৭ মানুষের ওপর করা ওই জরিপের ফলাফলে বলা হয়, দেশে এখন প্রতি হাজারে ১১ দশমিক ৩৯ জন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী আছেন। এমন যখন পরিস্থিতি তখন দেশে এ রোগের চিকিৎসার অবকাঠামো কেমন, তা নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন দেশের একজন বিশিষ্ট নিউরোসার্জন ডাক্তার অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। তিনি কর্মরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।