বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-১০০

CMGPublished: 2022-12-16 19:43:33
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রত্যেক রোগীর স্বতন্ত্র চিকিত্সা

কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে অন্য কারোর ভারসাম্যহীনতার মিল থাকে না সবসময়। সেকারণে প্রত্যেকের চিকিৎসার পদ্ধতি হয় আলাদা। টিসিএম টিকিৎসকরা স্বতন্ত্র টিসিএম ডায়াগনসিস পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথমে রোগীর শরীরের ভারসাম্যহীনতা নির্ণয় করেন। এ ডায়াগনসিস পদ্ধতিতে অন্তর্ভূক্ত থাকে জিহ্বা পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জানা, নাড়ি পরীক্ষা করা এবং রোগীর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য-ইতিহাস ও অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানা। এসবের মাধ্যমে ভারসাম্যহীনতা নির্ণয় করা হয়ে গেলে, রোগীর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আকুপাংচার ও চাইনিজ ভেষজ চিকিত্সা শুরু করা হয়। যদি খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভ্যাস ও জীবনধারা রোগীর ভারসাম্যহীনতায় অবদান রেখে থাকে, তবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন টিসিএম টিকিৎসকরা।

গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতি

আকুপাংচার ও ভেষজ ওষুধের চিকিত্সা রোগীর শরীরকে তার সর্বোত্তম ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এবং গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। চিকিৎসা শুরু করার পর একজন রোগী দ্রুত কতগুলো সাধারণ পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। এগুলো হলো ডিম্বস্ফোটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আসা, মাসিকের অনিয়ম দূর হওয়া এবং সুস্বাস্থ্যের অনুভূতি ফিরে আসা। আরও সূক্ষ্ম পরিবর্তনের মধ্যে থাকতে পারে সেই সব হরমোনের স্বাভাবিকীকরণ, যা ডিম্বস্ফোটন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডিম্বাণু নিঃসরণে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে, টিসিএম একজন মানুষের শরীরকে একটি স্বাস্থ্যকর ও আরও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে যেতে কাজ করে, যা গর্ভধারণে সাহায্য করে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব

টিসিএম পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার ক্ষেত্রে সমানভাবে কার্যকর। একজন পুরুষের কম শুক্রাণু সংখ্যা, কম গতিশীলতা বা যৌন অক্ষমতা সবই শরীরের ভারসাম্যহীনতার সাথে যুক্ত হতে পারে এবং এসব ক্ষেত্রে টিসিএম দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিতে পারে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn