দেহঘড়ি পর্ব-৯১
চারিত্রিক ও মানসিক দুর্বলতার জন্য হয়: অনেকে মনে করেন, বিষণ্ণতার মূল কারণ চারিত্রিক ও মানসিক দুর্বলতা। তারা বিশ্বাস করেন, কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো মানসিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তা যাদের নেই, তারাই মূলত বিষণ্ণতার শিকার হয়। এই মনোভাবেরও কোনও ভিত্তি নেই। আসলে বিষণ্ণতারর সঙ্গে কারও মানসিক বা চারিত্রিক দৃঢ়তার সামান্যতম সম্পর্কই নেই।
কোনও দুর্ঘটনা দায়ী: বিষণ্ণতার ব্যাপারে এটাও একটি সাধারণ ভুল ধারণা যে, কোনও দুর্ঘটনা বা অপ্রিয় ঘটনার জন্যে কেউ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটা কোনও কোনও ক্ষেত্রে সঠিক হলেও, সবক্ষেত্রে নয়। বিষণ্ণতার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হলো জীনগত ত্রুটি ও মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা। এছাড়া জৈবিক বা অন্তর্গত নানা কারণে যে কেউ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।
বিষণ্ণতা সারে না: কেউ কেউ মনে করেন, কেউ একবার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলে সে আর সুস্থ হয় না এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না। এটি একটি ভুল ধারণা। সঠিক চিকিৎসা করালে বিষণ্ণতা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। বিষণ্ণতায় যে আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসার পাশাপাশি তার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম। একজন আক্রান্ত মানুষ শারীরিকভাবে যত সক্রিয় থাকবে, এ সমস্যা মোকাবিলা তার জন্য তত সহজ হবে।
#কী_খাবো_কী_খাবো_না
ওট খান, সুস্থ থাকুন
ওট পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর খাদ্যশষ্যগুলোর মধ্যে একটি। ওট খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্য এর উপকারিতাও অনেক। এটি গম পরিবারের অন্তর্ভূক্ত একটি শষ্য, তবে খাদ্যমানে এর অবস্থান সমগোত্রীয় অন্য যে কোনও শষ্যের অনেক ওপরে।
অন্যান্য খাদ্যশষ্যের তুলনায় ওটে বেশি পরিমাণে আঁশ থাকায় এটা তূলনামূলক ধীরে হজম হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। গষেষণায় দেখা গেছে, ওটে রয়েছে উচ্চামাত্রায় দ্রবণীয় বেটা-গ্লুকান, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এ খাদ্যশষ্যে রয়েছে আলফা-টোকোটেরিওনল এবং আলফা-টোকোফেরল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।