বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-৮৯

CMGPublished: 2022-09-30 20:39:17
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

#ভালো_থাকাার_আছে_উপায়

থাইরয়েড সমস্যারও আছে সমাধান

থাইরয়েড সমস্যা একটি ব্যাপক-বিস্তৃত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুমান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৩ কোটি মানুষ জানেন না তারা এ সমস্যায় আক্রান্ত। থাইরয়েড গ্রন্হির অবস্থান গলায়। এখান থেকে বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরি হয়। যখন এ গ্রন্হি থেকে হরমোনের উত্পাদন অস্বাভাবিক হয়, তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। থাইরয়েড গ্রন্হি থেকে অতিরিক্ত হরমোন তৈরি হলে সেটি হাইপারথাইরয়েডিজম আর অপর্যাপ্ত হরমোন তৈরি হলে সেটি হাইপোথাইরয়েডিজম।

থাইরয়েড সমস্যা হলে অনেকগুলো শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যেমন ঘুম ঘুম ভাব আর সেই সাথে আলস্য আসে শরীরে। এছাড়া ধীরে ধীরে রক্তচাপ বাড়তে থাকে, ত্বকের কোমলতা কমে গিয়ে খসখসে হয়ে যায়, খাবারে অরুচি আসে, হঠাৎ ওজন বেড়ে বা কমে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, পা ফুলে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, চুল পড়তে শুরু করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের দেখা দেয়, এবং মহিলাদের পিরিয়ডে সমস্যা হয়। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথাও দেখা দেয় থাইরয়েড সমস্যার কারণে। তবে কতগুলো ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই সমস্যা। জানিয়ে দিচ্ছি উপায়গুলো:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল ও শাক-সবজি খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাইরয়েড সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেকারণে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একটু বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল ও শাক-সবজি রাখুন। লাল আঙ্গুর, নাসপতি, স্ট্রবেরি, ডুমুর, পিচ, পেয়ার, কমলা, আম, তরমুজ, পেপে ও টমেটোতে ভাল পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

বেশি প্রোটিন গ্রহণ করুন: থাইরয়েডক নিয়ন্ত্রণ করতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকা প্রয়োজন। সেজন্য পাতে নিয়মিত মুরগির মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। উচ্চমানের টাইরোসিন আমিষযুক্ত খাবারও থাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব দরকারি। টাইরোসিন পেতে খান মাংস, মাছ, ডিম, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি। এছাড়া গম, শস্যদানা, যব ও বার্লির মতো গ্লুটেন প্রোটিনযুক্ত খাবারও খেতে হবে নিয়মিত। এটা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn