দেহঘড়ি পর্ব-৮৯
ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের ম্যাথিউ স্পার্কস (Matthew Sparks) বলেন, "খাদ্যের ক্যালসিয়াম আসলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে। সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কিডনি পাথর দুটি উপাদান দিয়ে গঠিত -- ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট যা অনেক শাকসবজি ও ফলের মধ্যে পাওয়া যায়। অক্সালেট যখন প্রস্রাবে জমা হয়, তখন এটি রক্ত প্রবাহ থেকে ফিল্টার করা ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। আমাদের খাদ্যের ক্যালসিয়াম এটি ঘটতে বাধা দেয়। খাদ্যের ক্যালসিয়াম অক্সালেটের সাথে অন্ত্রের মধ্যেই আবদ্ধ হতে পারে এবং তারপর শরীর থেকে নিরাপদে মলের মধ্য দিয়ে বের করে দিতে পারে। ফলে অক্সালেট আর রক্তের প্রবাহে শোষিত হতে, কিডনিতে প্রবেশ করতে এবং পাথর তৈরি করতে পারে না।
কিডনি রোগ থাকলে কি প্রকাশ পাবেই
কিডনি রোগ প্রতারণামূলক হতে পারে। কিডনি রোগের শারীরিক লক্ষণগুলো খুব সূক্ষ্ম, যেমনটি হৃদরোগের ক্ষেত্রে নয়। ল্যাংহাম বলেন, আপনার কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণ না থাকলে কিডনি খুব কমই আপনাকে জ্বালাবে। তাছাড়া, আপনি কতটা প্রস্রাব করেন, তা থেকেও আপনার কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। কিডনি বিকল হওয়ার পরেও প্রস্রাব করার ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে ঠিক থাকতে পারে। তাই আপনার প্রস্রাব এখনও ঠিক মানে আপনার কিডনির কার্যকারিতাও ঠিক এমন নিশ্চয়তা নেই।
যদি কারও কিডনি বিকল হয়, তবে কিডনির কার্যকারিতার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত তারা এটি সম্পর্কে জানতেও পারেন না। স্পার্কসের মতে, এ বিষয়টি কিডনি রোগ নির্ণয়কে কঠিন করে তোলে। তবে আপনার কিডনির রোগ পরীক্ষা করার উপায় আছে। একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে দূষিত উপাদান ও বর্জ্য পদার্থের মাত্রা পরিমাপ করা যায়, যেটা থেকে চিকিৎসকরা বলতে পারেন, কিডনি কতটা দক্ষতার সাথে কাজ করছে।