বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-৮৯

CMGPublished: 2022-09-30 20:39:17
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

একইভাবে, একটি প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবের কিছু প্রোটিন সনাক্ত করা ও পরিমাপ করা যায়, যেটার উপস্থিতি থাকলে বোঝা যায় কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না। ল্যাংহামের মতে, রক্তচাপও কিডনি রোগের ঝুঁকির একটি ভাল সূচক। কিডনির অনেক কাজের মধ্যে একটি হলো হরমোন নিঃসরণ করা, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তিনি বলেন, "কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে আপনার উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়, এবং আপনার উচ্চ রক্তচাপ হলে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।”

কিডনির রোগ কি প্রতিরোধ করা যায়?

একটি প্রচলিত সাধারণ ভুল ধারণা হলো কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় না। ল্যাংহাম বলেন, এমন ভুল ধারণা অনেক চিকিৎসকের মধ্যেও আছে। বাস্তবতা হলো অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায় বা অন্তত রোগের গতি ধীর করা যায়, যদি কিডনিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বেশিরভাগ কিডনি রোগের সাথে সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য বলছে, ডায়াবেটিস আছে এমন ৩ জনের মধ্যে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ৫ জনের মধ্যে ১ জন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত৷ গোল্ডফার্ব বলেন, “তাই কেউ যদি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে এটি কিডনি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।"

বার্ধক্য, ধূমপান ও স্থূলতা মানুষকেও ঝুঁকিতে ফেলে। স্পার্কস মনে করেন, কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যায়াম, সঠিক মাত্রায় পানি গ্রহণ এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আপনার যদি কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে নিয়মিত কিডনি পরীক্ষার করাতে হবে যাতে ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায়। - রহমান

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি অন্ধত্বের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের চোখ কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে। শিশু অন্ধত্বের প্রধান কারণ রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি বা আরওপি। আরওপি হলো চোখের রেটিনার এমন একটি অস্বাভাকিতা যাতে কোনো শিশু আক্রান্ত হতে পারে ৩৪ সপ্তাহের আগে জন্মালে। একটি শিশু আরওপিতে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য জন্মের ৩০ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ সনাক্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না করা গেলে অন্ধত্ব এড়ানো যায় না। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ বা ৬ লাখ শিশুর জন্ম হয় অপরিণত অবস্থায়। অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া এসব শিশুদের মধ্যে আবার ২০ থেকে ২২ শতাংশ আরওপি বা অপরিণত শিশু অন্ধত্বের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন ডাক্তার ফেরদৌস আক্তার জলি। তিনি কর্মরত ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn