দেহঘড়ি পর্ব-৬৯
রক্তনালীতে ব্লকের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ভাসকুলার এবং এন্ডোভাসকুলার সার্জন ডা. একেএম জিয়াউল হক। তিনি কর্মরত জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে।
#উপসর্গে_উপলব্ধি
লিভার বাঁচাতে সতর্ক হোন
ফ্যাটি লিভার এক নীরব ঘাতক। লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে সেটাকে ফ্যাটি লিভার বলে। এ সমস্যা শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভারকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। জানিয়ে দিচ্ছি ফ্যাটি লিভারের উপসর্গগুলো সম্পর্কে:
একটু একটু ব্যাথা, পেট ভারী লাগা
শুরুতে ফ্যাটি লিভারের তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে লিভারে চর্বি বেশি পরিমাণে জমা হলে ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। পেটের ডান দিকে উপরে যে অংশে ফ্যাটি লিভার থাকে, প্রথমদিকে সেখানে একটু একটু ব্যথা হয় ও পেট একটু ভারী ভারী লাগে।
লিভারে প্রদাহ
ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথমে শুধু লিভারে চর্বি জমা থাকে। অন্য কোনও ইনজুরি হয় না। পরে বেশি চর্বি জমার ফলে লিভারে প্রদাহ শুরু হয়। লিভারে প্রদাহ হওয়ার মানে লিভার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। যেহেতু লিভার মানবদেহের পাওয়ার হাউস, তাই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের এনার্জি কমে যায়, রোগী দুর্বল হয়ে অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠে, তার কর্মক্ষমতা কমে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় এবং ওজন হ্রাস পায়।
জন্ডিস
প্রদাহ হওয়ার পরের ধাপে লিভার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু করে এবং শরীরে জন্ডিস দেখা দেয়। বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক পর্যায়ে শরীর হলুদ হয়ে যায় এবং হাত-পায়ে পানি আসে। এ পর্যায়ে অনেক সময় রক্ত বমি হয়। রক্তবমি মানে লিভার সিরোসিসের লক্ষণ। এরপর লিভার যদি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রোগী সতর্ক না হন কিংবা চিকিৎসা না নেন, তখন লিভার ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।