দেহঘড়ি পর্ব-৬৪
ইফতারে যা খাওয়া উচিৎ:
১। খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুরের মধ্যে শর্করা ছাড়াও প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। চারটি মাঝারি সাইজের খেজুরের মধ্যে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। ইফতারে চার-পাঁচটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
২। ইফতার মেন্যুতে রাখুন কলা। একটি কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি থাকে।
৩। ৫০ গ্রাম ছোলা-বুটে প্রায় ১৮০ ক্যালরি থাকে। ছোলা-বুট অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো। কারণ এটি পরিপাক হতে দীর্ঘ সময় লাগে।
৪। একটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। একটি ডিম থেকে পাওয়া যায় ৮০ ক্যালরি।
৫। ফলমূল যেমন, তরমুজ, আপেল, কমলা - এসব খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডাবের পানি, ইসবগুল, লেবুরর শরবত খাওয়া যায়। এগুলো পানিশূন্যতা রোধ করে।
ইফতারে যা পরিহার করা উচিৎ:
১। ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেসব খাবার তৈরি করা তা যত সম্ভব পরিহার করতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে।
২। একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া যাবে না।
৩। ঝাল খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।
৪। গরম খাবার যেমন চা-কফি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার সময় চা-কফি পরিহার করে চলা ভালো।
রোজার মাসে যেহেতু আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যগ্রহণের সময়ে পরিবর্তন আসে তাই আমাদের উচিৎ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া। আশা করা যায়, এসব পরামর্শ অনুসরণ করলে রোজার মাসে সুস্থ থাকা সম্ভব। - অভি/রহমান
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।