দেহঘড়ি পর্ব-৫৯
#ভালো_থাকার_আছে_উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্যকে উপেক্ষা করবেন না
কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত। যখন কোনো ব্যক্তি সহজে বা নিয়মিত মলত্যাগ করতে পারেন না এবং মল শুষ্ক ও শক্ত হয়, সে অবস্থাকেই কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। চিকিৎসকদের মতে, যদি কেউ সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করেন, তবে তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। অনেকের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য ভয়ানক অবস্থা তৈরি করে। শরীর তো বটেই, মনের ওপরও এ সমস্যা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অবশ্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি দিয়ে অনায়াসে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যকে প্রথম দিকে খুব সাধারণ সমস্যা মনে হতে পারে। তবে এ সমস্যা এড়িয়ে গেলে পরবর্তীতে এটি বড় ভোগান্তির কারণ হতে পারে। যে কোনও মানুষেরই কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে বয়স্ক মানুষেরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগার হার বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া যাঁদের ওজন বেশি এবং যারা অলস জীবনযাপন করেন, তাঁদেরও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগার ঝুঁকি থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তবে কম আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খেলে যে কোনও মানুষেরই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকার উপায় সম্পর্কে:
আঁশসমৃদ্ধ যে কোনও খাবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারে প্রধান ভূমিকা পালন করে। আপেল, পেয়ারা, নাসপাতি, আঙুর, পাকা পেঁপে, বেল, অ্যালোভেরা জুস ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে। যেসব ফলের খোসা খাওয়া যায়, সেগুলো খোসাসহই খেতে হবে।
সব ধরনের শাক বেশি পরিমাণে খেতে হবে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাক ও কচুশাক সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। সবজির মধ্যে ঢেঁড়স, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কুমড়ো, লাউ, পটল ও কচুর লতি বেশি উপকারী।