দেহঘড়ি পর্ব-৫৯
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা ‘ভাল থাকার আছে উপায়’।
#প্রতিবেদন
হার্টের চিকিৎসায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ‘মেকানিক্যাল হার্ট’ বসিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই যন্ত্র দীর্ঘদিন হৃৎপিণ্ডকে কৃত্রিম উপায়ে সচল রাখতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা হলো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনাইটেড হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্টের বিষয়টি তুলে ধরেন হাসপাতালের প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
গেল বুধবার ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার সহকর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্টমেইট-৩ নামের একটি মেকানিক্যাল হার্ট ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে স্থাপন করেন এবং এর মাধ্যমে তার পুরো হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন।
ওই রোগী দীর্ঘদিন ধরে শেষ পর্যায়ের বা তীব্র হার্ট ফেইলিওর নামক হৃদপিণ্ডের জটিলতায় ভুগছিলেন এবং দেশ-বিদেশে নানা চিকিৎসার পরও তার হৃদপিণ্ড বা হার্ট প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের বর্তমান উৎকর্ষে উন্নত বিশ্বে এর একমাত্র চিকিৎসা হলো আরেকটি সুস্থ হার্ট দিয়ে প্রায় অকার্যকর হার্টটি প্রতিস্থাপন। তবে যদি সুস্থ হার্ট না পাওয়া যায় কিংবা পেতে দেরি হয় এবং হার্টের অবস্থার যদি দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে তবে মেকানিক্যাল হার্ট স্থাপন করা হয়। - অভি/রহমান
#বুলেটিন