বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-২৫-China Radio International

criPublished: 2021-07-09 19:42:01
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে প্রকৃতি থেকে, গবেষণাগার থেকে নয়: ল্যানচেট

গবেষণাগার থেকে নয় বরং করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে প্রকৃতি থেকে। চিকিৎসাবিজ্ঞান-বিষয়ক বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল দ্য ল্যানচেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় একদল গবেষক এ সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেছেন। কোভিড-১৯-এর প্রাথমিক পর্যায়ের জেনেটিক বিশ্লেষণ এবং করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী ধরনসহ অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধি-সম্পর্কিত সুপ্রতিষ্ঠিত প্রমাণ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে গবেষণা-প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশে করোনার টিকা নেওয়ার বয়স সীমা ৩৫ নির্ধারণ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারীদের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করেছে সরকার। এর আগে টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ বছর। করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন আবার শুরু হওয়ায় সাথে সাথে এই বয়সসীমা কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বয়সসীমা কমানোর কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৫ লাখ টিকা এলো বাংলাদেশে

ছবি: এইচ আর অভি

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পৃথক চারটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ৪৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কেনা টিকার অংশ হিসেবে চীনের সিনোফার্ম থেকে আসা ২০ লাখ এবং টিকা বন্টনের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঠানো মর্ডানার ২৫ লাখ ডোজ টিকা। গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত টিকা বহনকারী চারটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। - তানজিদ/রহমান

## ভুলের ভূবনে বাস

কিডনি রোগ নিয়ে যত ভুল ধারণা

মানবদেহের অতিপ্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ কিডনি। যেসব অঙ্গের রোগ মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ফেলে তার মধ্যে কিডনি অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিশ্বব্যাপী এ রোগে প্রতিবছর ১২ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় এবং প্রাণহানির দিক থেকে কিডনি রোগের অবস্থান ১২তম। কিডনি রোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশের কিডনি ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা যায়, এদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনও না কোনভাবে কিডনি রোগে ভুগছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ হাজারের কিডনি পুরোপুরি অকেজো হচ্ছে প্রতিবছর। তবে এই রোগ ও এর চিকিত্সা নিয়ে অনেকের মধ্যে রয়েছে ভুল ধারণা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব ভুল ধারণা এবং সঠিক তথ্য সম্পর্কে:

বেশি পানি পান কি কিডনির জন্য উপকারি?

অনেকে মনে করেন, যত বেশি পানি খাওয়া যায়, কিডনির জন্য তত ভাল। আসলে তা নয়। কিডনির জন্য কম পানি খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ক্ষতিকর অতিরিক্ত পানি খাওয়াও। কেবল প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি খেতে হবে। কিডনিতে ছোট পাথর জমলে চিকিৎসকরা একটু বাড়তি পানি গ্রহণ করতে বলেন, যাতে পানি প্রবাহের সঙ্গে পাথর বেরিয়ে যায়। তবে কিডনি রোগ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করা উচিৎ।

কিডনি বিকল মানে কি একটি বিকল?

কিডনি রোগে আক্রান্ত মানেই দুটি কিডনি আক্রান্ত। কারণ একটি কিডনি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব কম ঘটে। যখন একটি কিডনি বিকল হয়ে যায়, তখন শরীরে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা দেয় না। কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও তেমন কোনও পার্থক্য ধরা পড়ে না। শরীরে যখন কিডনি রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে, তখন বুঝতে হবে দুটি কিডনিই আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সত্য।

কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য কি নির্দিষ্ট খাবার দায়ী?

এটি একটি সাধারণ ধারণা যে, কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ দায়ী। সব সময় এ ধারণা ঠিক নয়। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের বেলায় এটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক হলেও সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের বেলায় নয়। আবার অনেকের ধারণা, বেশির ভাগ কিডনির পাথরই হয় ক্যালসিয়াম থেকে, যার জন্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া উচিৎ। সাম্প্রতিক গবেষণায় এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ বরং শরীরে অন্যান্য সমস্যা ডেকে আনে। সেজন্য পরিমিত মাত্রায় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। তবে যাদের ইতোমধ্যে কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে, তারা কম পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন।

কিডনি দান করা কি নিরাপদ?

এটা বেশিরভাগ মানুষের ধারণা যে, কিডনি দান করা অত্যন্ত ঝুঁকির কাজ। তবে চিকিৎসকরা মনে করেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত নন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ এমন কোনও ব্যক্তি একটি কিডনি দান করলে তা তেমন ঝুঁকি বয়ে আনে না। তবে এটা ঠিক একটি কিডনি দান করলে, বাকী কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।

কিডনি প্রতিস্থাপন মানে কি বিদ্যমান কিডনি ফেলে দেওয়া?

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বা প্রতিস্থাপন মানে আক্রান্ত কিডনিকে ফেলে দিয়ে সেখানে নতুন একটি কিডনি জুড়ে দেওয়া বা পুনস্থাপন করা। আসলে তা নয়। কিডনি বিকল হওয়া রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় বিকল কিডনিকে আগের স্থানেই রেখে দেওয়া হয় এবং বিকল কিডনি দুটির সঙ্গে নতুন সুস্থ আরেকটি কিডনি জুড়ে দেওয়া হয়। বিকল কিডনিকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। - রহমান

## আপনার ডাক্তার

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn