দেহঘড়ি পর্ব-২৫-China Radio International
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভূবনে বাস’ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
## প্রতিবেদন
থামছেনা মৃত্যুর মিছিল, করোনা ইউনিটে অক্সিজেন সংকট
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা। সদর হাসপাতালগুলোতে তৈরি হয়েছে অক্সিজেন সংকট।
দিন যতো যাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ভয়াবহভাবে বাড়ছে শনাক্তের হার। টানা লকডাউনেও যেনো থামানো যাচ্ছেনা করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ শুরুর দিকে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম শয্যা ও অক্সিজেন সঙ্কট। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের। চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দিচ্ছেন অনেক রোগী।
মৃত্যুর সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের একটি বড় অংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারেও শঙ্কিত তারা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, 'মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরও কেউই ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। একারণেই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।'
পিছিয়ে নেই রাজশাহীও। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর বাড়ার হওয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, রাজশাহীর গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এখনো অবগত নন। সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতেও অনীহা রয়েছে তাদের। তবে মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে এখন অনেকেই মাস্ক পরতে শুরু করেছেন।'
এদিকে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগেও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা ও শনাক্তের হার। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, লকডাউন কার্যকর করার পাশাপাশি সরকারের এখন নজর দেওয়া দরকার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায়। - ঔশি/রহমান
##হেল্থ বুলেটিন
১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়লো কঠোর লকডাউন
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত সোমবার জারি করা এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির দেওয়া প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় গেল ১ জুলাই থেকে বলবৎ করা হয় সাত দিনের কঠোর লকডাউন।
বাংলাদেশে একদিনে ২৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত
গত বুধবার বাংলাদেশে এক দিনে ২৯ জন ডেঙ্গুরোগী সনাক্ত হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই ঢাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।